সাবরিনার ২ জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পার্কে যা বলল ইসি

সাবরিনার ২ জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পার্কে যা বলল ইসি

ফাইল ছবি।

করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী বর্তমানে জেলে রয়েছেন। তার দুর্নীতি বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের সামনে ধরা পরে ভিন্ন নম্বরের দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)।  এবিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে দুদক।

সাবরিনার ২ টি এনআইডি‌‌‌‌'র বিষয়ে  খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন ইসি‌র সচিব মো. আলোমগীর।

বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের চিঠি পেয়েছি। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেবে। দ্বৈত ভোটারের বিষয়টি প্রমাণিত হলে এবং এর সঙ্গে কমিশনের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ত পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

জেকেজির দুর্নীতে সাবরিনার সংশ্লিষ্টতা নিয়ে দুদকের তদন্তে তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিষয়টি উঠে আসে। দুদক কর্মকর্তারা জানান, সাবরিনার ভিন্ন নম্বরের দুটি এনআইডি রয়েছে। দুটোই সচল। দুটি আইডিকার্ডে স্বামীর নাম, জন্মতারিখ ও ঠিকানা ভিন্ন।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব নিয়েছিল ওভাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান জোবেদা খাতুন হেলথকেয়ার (জেকেজি)। পরে বেরিয়ে আসে, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিলেও বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও দিচ্ছিল তারা।

এসব অভিযোগে গত ২৩ জুন ডা. সাবরিনার স্বামী ও জেকেজির সিইও আরিফ চৌধুরীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরদিন ২৪ জুন জেকেজির কর্মচারী হুমায়ুন কবীর ও তানজিনা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় মোট চারটি মামলা করা হয়।