খরুচে বোলিংয়ের পর জিতল মুস্তাফিজের চেন্নাই

খরুচে বোলিংয়ের পর জিতল মুস্তাফিজের চেন্নাই

সংগৃহীত

হারের হ্যাটট্রিক দিয়ে আইপিএল ২০২৪ অভিযান শুরু করা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পরপর ২টি ম্যাচে জয় তুলে সাময়িক স্বস্তি দেয় সমর্থকদের। তবে জোড়া জয়ের পরে ফের হারের মুখ দেখতে হলো হার্দিক পান্ডিয়াদের। এবার রোহিত শর্মার দুর্দান্ত শতরান সত্ত্বেও ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে মাথা নত করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। 

রবিবার পাথিরানার দারুণ বোলিংয়ে ২০ রানের জয় পেয়েছে ধোনিরা। এই ম্যাচে খরুচে বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে তিনি খরচা করেছেন ৫৫ রান, পেয়েছেন এক উইকেট।

ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে চেন্নাই সুপার কিংসকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। চেন্নাই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৬৯ রান করেন ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৪০ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।

৩৮ বলে ৬৬ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন শিবম দুবে। তিনি ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। শেষ বেলায় ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৪ বলে ২০ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন।

এছাড়া ওপেন করতে নেমে ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৮ বলে ৫ রান করে আউট হন অজিঙ্কা রাহানে। ২টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন অপর ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১৪ বলে ১৭ রানের যোগদান রাখেন ডারিল মিচেল। তিনি ১টি চার মারেন।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে ৩ ওভারে ৪৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ ওভারে ৩৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন জেরাল্ড কোয়েটজি। ১ ওভারে ৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন শ্রেয়স গোপাল। উইকেট না পেলেও ৩ ওভারে মাত্র ১৯ রান খরচ করেন মোহাম্মদ নবী। বুমরাহ ৪ ওভারে ২৭ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স পাল্টা লড়াই শুরু করে এক্কেবারে যথাযথভাবে। তারা ওপেনিং জুটিতে ৭০ রান তুলে ফেলে। শেষে ১৫ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ঈশান কিশান। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। অপর ওপেনার রোহিত শর্মা ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ১০টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন। শেষমেশ ১১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৩ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন হিটম্যান।

যদিও মুম্বাই শেষমেশ ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৬ রানে আটকে যায়। ২০ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে চেন্নাই সুপার কিংস। 

উল্লেখ্য, ধোনি চেন্নাইয়ের হয়ে ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৪ বলে ২০ রান করেন। ম্যাচে তফাৎ গড়ে দেয় সেই ২০ রানই। অর্থাৎ, এটা বলা মোটেও ভুল হবে না যে, ধোনির তিন ছক্কাই ম্যাচ জেতায় চেন্নাইকে।

রোহিত শর্মাই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি শতরান করে অপরাজিত থাকা সত্ত্বেও তার দল ম্যাচ হারে। সেদিক থেকে হিটম্যান ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে যান বলা চলে। সূর্যকুমার যাদব এদিন খাতা খুলতে পারেননি। ৫টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ বলে ৩১ রান করেন তিলক বর্মা। ৬ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়েন হার্দিক পান্ডিয়া। ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৩ রান করেন টিম ডেভিড। ২ বলে ১ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। ৭ বলে ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নবী।

চেন্নাইয়ের পাথিরানা ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ৪টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে ও মুস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচের সেরা হন মাথিসা পাথিরানা।