সরবজিৎ হত্যার মূল অভিযুক্ত সরফারাজ তাম্বা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত

সরবজিৎ হত্যার মূল অভিযুক্ত সরফারাজ তাম্বা দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত

ছবি: সংগৃহীত

দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছেন সরবজিৎ সিং খুনে প্রধান অভিযুক্ত আমির সরফারাজ তাম্বা। গত রোববার গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।

১৯৯০ সালে ভুলবশত পাকিস্তানে গিয়েছিলেন সরবজিৎ। তখনই সেদেশে এক বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পাক পুলিশ। সেই অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়। এরপর ভারতের থেকে বহুবার বহু আবেদন করেও লাভ হয়নি। শেষ পর্যন্ত ২০১৩ সালে জেলে অত্যাচারের শিকার হয়ে সরবজিতের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা বলিউডের পর্দায় সিনেমায় দেখানো হয়। যেখানে সরবজিতের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল রণদীপ হুডাকে এবং তার বোন দলবীরের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ঐশ্বরিয়া রায় বচ্চন। এবার সরবজিৎ ন্যায় বিচার পাওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ পর্দার ‘সরবজিৎ’ রণদীপ হুডা। 

এক্স হ্যান্ডেলে রণদীপ লিখেছেন, সবই কর্মফল। স্বপনদীপ আর পুনমকে অনেক ভালোবাসা। এতদিনে শহীদ সরবজিৎ সিংয়ের ন্যায় বিচার পেলেন।

জানা গেছে, জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সইদের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল সরবজিৎ সিং খুনের মূল অভিযুক্ত তাম্বা। একাধিক অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার জেরে জেলে ঠাঁই হয়। ভারতীয় সরবজিতের জেলেই বন্দি ছিল তাম্বাও। সেখানে মুদাসির মুনির নামে আরও এক বন্দির সঙ্গে মিলে সরবজিতকে ইট ও অন্যান্য ভারী হাতিয়ার দিয়ে মারধর করত সে। যদিও বছর ছয়েক আগে তাম্বা ও মুনিরকে বেকসুর খালাস করে পাকিস্তানের একটি আদালত।

এই রায়ের পরেই জেল থেকে মুক্তি পায় তাম্বা। জেল থেকে বেরনোর পর লাহোরেই থাকত সে। জানা যায়, গত রোববার লাহোরের ইসলামপুরা এলাকায় ভোরবেলা বাইকে চেপে কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আসে। তাম্বাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাম্বাকে। চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তার।