বাটলারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে জিতল রাজস্থান

বাটলারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে জিতল রাজস্থান

ছবি:সংগৃহীত

শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দলের দরকার ২৮ রান, সেঞ্চুরির জন্য জস বাটলারের ২১। দুইটি লক্ষ্যই তিনি ছুঁয়ে ফেললেন দারুণ ব্যাটিংয়ে। তার নৈপুণ্যে রেকর্ড গড়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারাল রাজস্থান রয়্যালস।

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাজস্থানের জয় ২ উইকেটে। ২২৪ রানের লক্ষ্য তারা ছুঁয়ে ফেলে শেষ বলে। আইপিএলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। আগের রেকর্ডও ছিল রাজস্থানের। ২০২০ আসরে শারজাহতে তখনকার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২২৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তাদের জয় ছিল ৪ উইকেটে।

চার বছর আগের ওই ম্যাচে ৪ রান করে আউট হয়েছিলেন বাটলার। এবার জয়ের নায়ক তিনিই। ৯ চার ও ৬ ছক্কায় ৬০ বলে অপরাজিত ১০৭ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিয়ে ফেরেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। চলতি আসরে তিন ম্যাচের মধ্যে বাটলারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৫৮ বলে অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন তিনি। সেটি ছিল আইপিএলে তার শততম ম্যাচ।

টি-টোয়েন্টিতে বাটলারের সেঞ্চুরি হলো আটটি। যার সাতটিই করলেন আইপিএলে। ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে তার চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে কেবল বিরাট কোহলির, ৮টি। তবে এদিন বিফলে গেল কলকাতার হয়ে সুনিল নারাইনের ঝড়ো সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে ৫৬ বলে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার।

রান তাড়ায় রাজস্থানকে বলতে গেলে একাই পথ দেখান বাটলার। এক প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে নিয়মিত। আরেক প্রান্ত ধরে রাখেন বাটলার। প্রথম ৩০ বলে এই ওপেনারের রান ছিল ৪০। ফিফটি করেন তিনি ৩৬ বলে।

৪ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ছয় ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিল ৯৬ রান। ১৫তম ওভারে স্পিনার ভারুন চক্রবর্তীকে চারটি চার মারেন বাটলার। এই ওভারে আসে ১৭ রান, পরের ওভারেও তাই। ১৭তম ওভারে নারাইনের প্রথম তিন বলে দুইটি ছক্কা ও একটি চার মারেন রভম্যান পাওয়েল। ওই ওভারেই তিনি আউট হয়ে যান ১৩ বলে ২৬ রান করে।

১৮তম ওভারে মিচেল স্টার্ককে একটি করে চার ও ছক্কা মারেন বাটলার। এই ওভারে আসে ১৮ রান। শেষ দুই ওভারে ২৮ রানের সমীকরণে ১৯তম ওভারে হার্শিত প্যাটেলকে দুইটি ছক্কা ও একটি চারে মোট ১৯ রান নেন বাটলার।

শেষ ওভারে চাই ৯। ভারুনের প্রথম বল ছক্কায় উড়িয়ে বাটলার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫৫ বলে। পরের তিন বলে তিনি কোনো রান নেননি। পঞ্চম বলে দুই রান নিয়ে স্কোর সমান করেন। আর শেষ বল মিডউইকেট দিয়ে খেলে এক রান নিয়ে জয়ের আনন্দে ভাসান দলকে। দলের শেষ ২৯ রানের সবই আসে বাটলারের ব্যাট থেকে!