অন্ধ্র প্রদেশে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে বিয়ের কনেকে অপহরণের চেষ্টা

অন্ধ্র প্রদেশে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে বিয়ের কনেকে অপহরণের চেষ্টা

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিয়ের দিনটি বেশিরভাগ মানুষের কাছেই স্বপ্নের মতো। কিন্তু সেই স্বপ্নই যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল এক যুগলের জন্য। কারণ তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে কনেকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তারই পরিবারের সদস্যরা। মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে, ধাক্কাধাক্কি করে জোরপূর্বক অপহরণ চেষ্টার নাটকীয় সেই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভিডিওতে দেখা যায়, বিয়ের আসর থেকে হলুদ শাড়ি পরা কনেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তার মা- ভাইসহ অন্যান্য আত্মীয়রা। আর তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বরপক্ষের লোকজন। একপর্যায়ে বাধা দেওয়ার লোকদের মুখে লাল মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেন এক ব্যক্তি।

এরপর কনেকে মেঝের দিয়ে ওপর টানতে টানতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এক যুবক। এসময় আরেক যুবক মেয়েটির পা ধরে আটকানোর চেষ্টা করছিলেন আর মেয়েটি চিৎকার করে কাঁদছিল।ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবর অনুসারে, ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার কাদিয়ামে।

জানা যায়, রাজ্যের নারসারাওপেট জেলার একটি কলেজে ভেটেরিনারি সায়েন্সে ডিপ্লোমা করার সময় গঙ্গাভারম স্নেহা এবং বটিনা ভেঙ্কটানান্দুর পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তারা বন্ধু হয়ে ওঠেন এবং প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। গত ১৩ এপ্রিল বিজয়ওয়াড়ার বিখ্যাত দুর্গা মন্দিরে বিয়ে করে এ যুগল।

বিয়ের পর তারা ভেঙ্কটানান্দুর বাড়িতে যান। এরপর ছেলের পরিবার গত ২১ এপ্রিল পারিবারিকভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়। বিষয়টি স্নেহার পরিবারকেও জানানো হয়েছিল এবং তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।নির্ধারিত দিন ভেনুতে যখন অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছিল, তখন হঠাৎ মা ও অন্যান্য আত্মীয়রা স্নেহার সেখানে ঢুকে পড়েন। তারা মরিচের গুঁড়া দিয়ে আশপাশের লোকদের ওপর আক্রমণ করেন এবং মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

তবে তাদের আটকানোর চেষ্টা করেন বর, বরের পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা। এসময় বরের এক বন্ধু গুরুতর আহত হন। তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।শেষপর্যন্ত অবশ্য অপহরণচেষ্টা ভেস্তে দিতে সক্ষম হয় বরপক্ষ। এই ঘটনায় একটি মামলা করেছে তারা।

ঘটনার কথা বলতে গিয়ে স্নেহা বলেন, আমার মা, ভাই এবং কাজিনরা এসে আমাকে অপহরণ করার জন্য আশপাশের লোকদের ওপর মরিচের গুঁড়া ছুড়ে মারেন।তবে, স্নেহার পরিবার কেন এই বিয়ের বিরুদ্ধে, তা জানা যায়নি।