ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে জ্যামাইকা

ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে জ্যামাইকা

মাজেদ বাম্যা

ইসরায়েল ও হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপরাষ্ট্র জ্যামাইকা। 

জ্যামাইকা সরকার জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে জ্যামাইকার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘে ফিলিস্তিন রাজ্যের উপ-স্থায়ী পর্যবেক্ষক মাজেদ বাম্যা। 

জ্যামাইকার অবজারভারের খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) দেশটির মন্ত্রিসভার আলোচনার পর পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ সরকারি সিদ্ধান্তটি নিশ্চিত করেন।

জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ সনদের মূলনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাশাপাশি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের স্বীকৃতির কথাও বলা আছে এতে।

এ বিষয়ে জ্যামাইকার পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্যমন্ত্রী কামিনা জনসন স্মিথ বলেন, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সংঘাতের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় তার দেশ। সেটা হতে হবে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে, সামরিক উপায়ে নয়।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ইতিমধ্যে ১৪০টি দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর আগে গত মার্চের শেষ সপ্তাহে বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় ইউরোপের চার দেশ স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও মাল্টার প্রধানমন্ত্রীরা জানান, তাদের দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত। তারা সে সময় বলেন, যুদ্ধকবলিত এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের একমাত্র উপায় এটি।

ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য হিসেবে রয়েছে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য গত শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপিত হয়েছিল। ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, 'ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে জাতিসংঘের সদস্যপদ দেওয়া হোক’। 

নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ১২ সদস্য ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। ভোটদানে বিরত থাকে যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড। তবে নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে প্রস্তাবটি বাতিল হয়ে যায়।

নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী পাঁচ সদস্যের কোনো একটি দেশ কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট অর্থাৎ ভেটো দিলে ওই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না।