এবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে সদস্যদের জুতা চুরি

এবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টে  সদস্যদের জুতা চুরি

ফাইল ছবি।

যেকোনো দেশে সবচেয়ে সুরক্ষিত জায়গাগুলোর মধ্যে একটি ধরা হয় পার্লামেন্টেকে। সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকে ডজন ডজন নিরাপত্তাকর্মী। কিন্তু সবার চোক ফাঁকি দিয়ে নিরাপত্তার চাদরে মোড়া সেই পার্লামেন্ট চত্বর থেকেই কি না চুরি হয়ে গেলো ২০ জোড়া জুতা! আর তার কারণে খালি পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হলো এমপিদের!

সম্প্রতি এমন ঘটনাই ঘটেছে পাকিস্তানে। আর তার জেরে বিতর্কের ঝড় তৈরি হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে।প্রশ্ন উঠছে, পার্লামেন্টে চত্বরের আঁটসাট নিরাপত্তা টপকে জুতাচোর ঢুকলো কীভাবে? এ ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের পার্লামেন্ট চত্বরে থাকা একটি মসজিদ থেকে ঘটেছে এই জুতা চুরির ঘটনা।

সেদিন দুপুরে জুমআর নামাজ পড়তে মসজিদে ঢুকেছিলেন সংসদ সদস্য, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তারা। কিন্তু নামাজ শেষে বের হতেই চোখ ছানাবড়া সবার। কারণ, কড়া নিরাপত্তায় ঘেরা পার্লামেন্ট চত্বরের মসজিদ থেকে অন্তত ২০ জোড়া জুতা গায়েব!

কীভাবে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছিলেন না তারা। অনেক খোঁজাখুজির পরেও নিজেদের জুতা না পেয়ে বিকল্পের সন্ধানে ব্যস্ত হয়ে পড়েন সবাই। শেষমেষ খালি পায়েই ঘরে ফিরতে হয় অনেককে।এই ঘটনা জানতে পেরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের স্পিকার সরদার আয়াজ সাদিক। পার্লামেন্ট চত্বরে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ত্রুটি অনুসন্ধানে সূক্ষ্ম তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, জুতা চুরির সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত নিরাপত্তাকর্মীরা স্পষ্টতই অনুপস্থিত ছিলেন, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।স্পিকারের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যুগ্ম সচিব অ্যাডমিন এবং সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে ঘটনার তদন্ত পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।