ম্যারাডোনার মৃত্যুর নতুন কারণ, চটেছেন মেয়ে

ম্যারাডোনার মৃত্যুর নতুন কারণ, চটেছেন মেয়ে

প্রতীকী ছবি

বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন দিয়েগো ম্যারাডনা। আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি ফুটবলার ইহকাল থেকে বিদায় নিয়েছেন চার বছরের বেশি সময় হবে। তবে মৃত্যুর পরও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না তাঁর। নতুন করে তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। আর এই আলোচনার মূল কারণ, তাঁর মৃত্যুর নতুন কারণ জানিয়ে এক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। আর এ ঘটনায় বেজায় চটেছেন তাঁর মেয়ে জিয়ান্নিনা ম্যারাডোনা।

ম্যারাডনা মারা যান ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর। নিজ দেশে হৃদযন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান। তখন জানা গিয়েছিল, হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি। তবে এরপর অভিযোগের তীর ছোড়া হয় তাঁর মৃত্যুর সময় ওই হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করা আট ডাক্তার ও নার্সের বিরুদ্ধে। পরে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়।

এই আটজনের মাঝে ছিলেন ম্যারাডোনার মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অগাস্তিনা কোসাশভ ও ডক্টর লিওপোল্দো লুক। এ দুজনের আইনজীবীদের অনুরোধে কিংবদন্তি এই ফুটবলারের হার্ট অ্যাটাকের কারণ অনুসন্ধান করা হয়। আর এই অনুসন্ধাণে পাওয়া যায় ভিন্ন রিপোর্ট।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারাডোনার ওই সময়ের দ্রুত ও অনিশ্চিত হৃদক্রিয়ার পেছনে বাহ্যিক (এক্সটার্নাল ফ্যাক্টর) কোনো বস্তুর প্রভাব থাকতে পারে। সেটা হতে পারে কোকেইনের মতো নেশাজাতীয় দ্রব্য।’

এমন রিপোর্ট সামনে আসায় বেজায় চটেছেন ম্যারাডোনার মেয়ে জিয়ান্নিনা। তিনি বলেন, ‘২০০৪ সালের ৯ মে থেকে আমার বাবা কোকেইন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। অটোপসি রিপোর্টেও প্রমাণ হয় যেদিন বাবা স্বর্গে গেলেন ওইদিন তার হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছিল। ওই সময় তার শরীরে কী কী পাওয়া গেছে সেটিও ওই রিপোর্টে আছে। ওইদিন তার কণ্ঠ রোবটের মতো শোনাচ্ছিল কারণ তার ফুসফুসে কিছু একটা হচ্ছিল। পৃথিবীর সবাই জানে তিনি হার্টের রোগী। তারপরও হার্টের রোগের জন্য কোনো মেডিকেশন দেওয়া হয়নি। এবং কেউ তার ফুসফুসের দিকেও নজর দেয়নি।’

জিয়ান্নিনা আরও বলেন, ওই আটজন ঠিক্মত দায়িত্ব পালন না করার কারণেই তাঁর বাবার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নিজেদের কাজ ঠিকমতো না করার কারণেই আজ তারা এখানে। এখন তারা নিজেদের জেলে যাওয়া থেকে বাঁচাতে এইসব করছে। আমি কিছুতেই ভয় পাই না। প্রয়োজনে আমাকে ওদের মেরে ফেলতে হবে। তার আগে আমাকে চুপ করানো যাবে না।’