ডি এ তায়েবের নামে মামলার হুঁশিয়ারি নিপুণের

ডি এ তায়েবের নামে মামলার হুঁশিয়ারি নিপুণের

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন হেরেও  প্রশংসিত হয়েছিলেন নিপুণ। কেননা বিজয়ী কমিটির প্রধান দুইজনকে নিজ হাতে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে ভেতরে ভেতরে যে নির্বাচিতদের মানতে পারেননি তার প্রমাণ মিলেছে। 

নির্বাচন বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’ বলে মন্তব্য করেছেন। নিপুণ বলেছিলেন, ‘স্যরি টু সে, আমাকে বলতে হচ্ছে- শিল্পী সমিতিতে এমন একজন সেক্রেটারি পদে এসেছেন যার কোনো শিক্ষা নেই। এটা ২০২৪ সাল। আমরা ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে আছি। এটা অশিক্ষিত লোকদের জায়গা না, এটা আনকালচারদের জায়গা না। এটা কাজ করে দেখিয়ে দেওয়া লোকদের জায়গা।’

এতে ক্ষুব্ধ নতুন কমিটি। বিষয়টি গভীরভাবে নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে নিপুণকে। যথাযথ ব্যাখ্যা না পেলে তার সদস্যপদ বাতিল হতে পারে। এ কথা জানিয়েছেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব।

তিনি বলেন, ‘নিপুণের এমন মন্তব্য সত্যই হতাশাজনক। তিনি শুধু ডিপজলকেই ছোট করেননি বরং সমগ্র চলচ্চিত্র শিল্পীদের হেয় করেছেন। আমরা তার এমন মন্তব্যের জন্য একটি নোটিশ দেব। যথাযথ উত্তর না পেলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।’

তায়েবের এমন বক্তব্যে চটেছেন নিপুণ। দিয়েছেন মামলার হুমকি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি ডিএ তায়েবের মতো একদমই ফ্রি লোক না। তিনি কি অভিনেতা, একজন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা? তার কোন সিনেমা ব্লকবাস্টার? তিনি কি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে নিজের নাম নক্ষত্রের সঙ্গে লিখেছেন- তার কাছে আমার প্রশ্ন রইল। আর তিনি আমাকে নিয়ে যেটি বলেছেন, আমার মানসিক সমস্যা রয়েছে। সেটার জন্য আমি দেশে আসার পর তার নামে সাইবার ক্রাইমে মামলা করব।

তিনি আরও বলেন, ‘সদস্যপদের সঙ্গে কোর্টের কোনো সম্পর্ক নেই। রিট যেহেতু করেছি, উনাদের কোর্টে আসতেই হবে। আর তিনি যদি সদস্যপদ খারিজ করতেই চায়, তাহলে সেটার জন্যও কোর্ট রয়েছে। দেশে তো আইন রয়েছে।’