গাজায় গণহত্যা চলছে না: বাইডেন

গাজায় গণহত্যা চলছে না: বাইডেন

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় টানা প্রায় সাড়ে সাত মাস ধরে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। দখলদার বাহিনীর অব্যাহত হামলা ও অভিযানে উপত্যকাটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। বর্বর এই আগ্রাসনের জেরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ক্ষোভ। দখলদার রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে আন্তর্জাতিক আদালতে। গণহত্যা বন্ধের দাবি তুলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশে দেশে।

এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও ইসরায়েলের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বলছেন, ইসরায়েলি বাহিনী গণহত্যা করছে না। গাজায় যা চলছে, তা গণহত্যা নয়।

মঙ্গলবার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ওঠা গণহত্যার অভিযোগ সোমবার (২০ মে) বসরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন জো বাইডেন। হোয়াইট হাউসে ইহুদি আমেরিকান হেরিটেজ মান্থ ইভেন্টে এদিন তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা নয়। আমরা এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি।’

মূলত গাজা ভূখণ্ডে নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় সাড়ে সাত মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন সাড়ে ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এমন অবস্থায় ফিলিস্তিনিপন্থিদের তীব্র প্রতিবাদের মুখোমুখি হয়েছেন বাইডেন। ইসরায়েলের প্রতি নিজের অবিচল সমর্থনের জন্য বাইডেনকে ‘জেনোসাইড জো’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

রয়টার্স বলছে, সোমবার হোয়াইট হাউসের ওই ইভেন্টে বাইডেন জোর দিয়ে বলেন, ইসরায়েল নিজেই ‘ভিকটিম’। ইসরায়েলিদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ‘লোহার আবরণের মতো দৃঢ়’।

তিনি বলেন, ‘আমরা (হামাস নেতা ইয়াহিয়া) সিনওয়ার এবং হামাসের বাকি কসাইদের খুঁজে বের করতে ইসরায়েলের সঙ্গে আছি। আমরা হামাসকে পরাজিত করতে চাই। আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করছি, যেন হামাসকে পরাজিত করা যেতে পারে।’

এদিকে গাজায় যুদ্ধাপরাধের পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি)।

আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে এই আবেদন। তবে বাইডেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউটরের এই আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।