বেসিসের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথগ্রহণ

বেসিসের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের শপথগ্রহণ

ছবি: সংগৃহীত

স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশীয় সফটওয়্যারের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিষিক্ত হলো বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত এই পরিষদের মেয়াদ আগামী দুই বছর।

রাজধানীর রেডিসন ব্লু  হোটেলে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম।

বেসিসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এ তৌহিদ নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদকে শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) সৈয়দ মোহাম্মাদ কামাল, সহ-সভাপতি (অর্থ) ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান, বেসিসের নবনির্বাচিত পরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, এম আসিফ রহমান, দিদারুল আলম, ড. মুহম্মদ রিসালাত সিদ্দীক, মীর শাহরুখ ইসলাম, বিপ্লব ঘোষ রাহুল ও সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ।

সরকার তথ্যপ্রযুক্তি খাতে চলমান কর অব্যাহতি সুবিধা বজায় রাখবে বলে আশ্বাস দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সালমান এফ রহমান। তবে তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরবর্তী অর্থবছরের বাজেটে কর আরোপের মেয়াদ তিন বা পাঁচ বছর পর থেকে শুরু হবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে।’

২০৩১ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতির দাবি জানিয়ে বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে আইসিটি হবে নিউক্লিয়াস। লোকাল মার্কেটে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে এই লক্ষ্য পৌঁছাতে এবং ৫ বিলিয়ন ডলার টার্গেটের দিকে এগোতে সরকারকে একটি পলিসির মাধ্যমে ২০৪১ সাল নাগাদ তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার টার্গেট নির্ধারণ করা উচিত।’

তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হিসেবে আখ্যা দিয়ে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম বলেন, ‘দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পের উন্নয়নে, স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ক্ষেত্রে আশা করছি বেসিসের নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’

আগামী এক বছরের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পুরোপুরি ‘পেপারলেস’ করা হবে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু)। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাত একদিন গার্মেন্টস খাতের মতোই বড় খাত হয়ে উঠবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বেসিসের ২৫০০ আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ও সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠানে প্রায় তিন লক্ষ তরুণের কর্মসংস্থান আছে যা ১০ লাখে উন্নীত করতে চায় সরকার। সম্ভাবনাময়ী এই আইসিটি খাতকে আরও ৫ বছর কর অব্যাহতির জন্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৮ মে বেসিসের ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।