বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে স্কুলছাত্রের মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

বন্ধুদের সাথে বাগানে লিচু চুরি করতে গিয়ে বাগান মালিকের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে হাসান আলী মন্ডল (১৯) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। পরে বাগান মালিক বিষয়টি অন্যখাতে প্রবাহিত করতে তার মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের একটি সেচ পাম্পের ঘরের পাশের ধানের জমিতে ফেলে দেয়।

রবিবার রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়নের প্রভুরাম পুর গ্রামে এইে ঘটনা ঘটেছে। হাসান প্রভুরামপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।    

স্থানীয়রা জানান, রবিবার মধ্যরাতে ঝড়ো বাতাসের সময় হাসান তার দুইবন্ধু প্রভুরাম গ্রামের মৃত জুয়েল ইসলামের পুত্র সোহেল (১৮) ও সিদ্দিক হোসেনের পুত্র জেমস মিয়া (১৯)সহ প্রতিবেশী হাজী জহুরুল ইসলামের বাগানে লিচু চুরি করতে যায়। সেখানে পূর্ব থেকেই বাগান মালিক জিআই তারের সাহায্যে বৈদ্যুতিক ফাঁদ দিয়ে রাখায় হাসান সেই ফাঁদে আটকা পরে মারা যায়। বন্ধুরা এই অবস্থা দেখে সেখান থেকে পালিয়ে যায় এবং বিষয়টি গোপন রাখে।

এদিকে রাতে বাগান মালিক পাহারা দিতে এসে হাসানের মহরদেহ পরে থাকতে দেখে বুঝতে পারে যে সে বৈদ্যুতিক শক খেয়ে মারা গেছে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি অন্যখাতে প্রবাহিত করতে রাতেই লাশটি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার উদয়পুর ইউনিয়নের পুরগ্রামের বরেন্দ্রর সেচ প্রকল্পের একটি পাম্পের ট্রান্সফরমার ওয়ালা একটি খুঁটির কাছে ফেলে পালিয়ে আসে।

সোমবার সকাল বেলা স্থানীয়রা একটি অজ্ঞাতনামা লাশ দেখে পুলিশে খবর দিয়ে কাল্ইা থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এদিকে লাশের খবরে  হাসানের স্বজনরা থানায় গিয়ে তার লাশ সনাক্ত করে। পরে হাসানের ওই দুই বন্ধু প্রকৃত বিষয়টি জানালে পুলিশ বাগান মালিক জহুরুল ইসলামকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জহুরুল ঘটনার কথা স্বীকার করেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার বৈরাগী তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) মতিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জয়পুরহাটের কালাই থানা এলাকা থেকে সেখানকার থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে