গাইবান্ধার দুই উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ, পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি বেশি

গাইবান্ধার দুই উপজেলায় চলছে ভোটগ্রহণ, পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি বেশি

ছবি:সংগৃহীত

তৃতীয় ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর এই দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিরতীহীন ভাবে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত। এই দুই উপজেলায় ১৬ জন চেয়ারম্যানস মোট ৪০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর আগে মঙ্গলবার নির্বাচনী সরঞ্জামাদি কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। ব্যালট পেপার নেওয়া হয় আজ ভোটের দিন সকালে।

তবে সকাল থেকে কেন্দ্রগুলোকে ভোটারের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত ছিল। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেলকা মণিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা গেছে এমন চিত্র। সেখানে নারী ভোটারের তুলনায় পুরুষ ভোটারের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৩৯টি ভোটকেন্দ্রে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন, নারী ভোটার ২ লাখ ১ হাজার একশত ১৫৯ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ১ জন।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৯ জন প্রার্থী। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম সরকার লেবু (কাপ-পিরিচ), উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য খয়বর হোসেন সরকার (হেলিকপ্টার), জাতীয় পার্টির মোস্তফা মহসিন সরদার টিপু (লাঙ্গল), সাজ্জাদ হোসেন লিখন মিয়া (ঘোড়া), মো. আখতারুজ্জামান আকন্দ (দোয়াত-কলম), মো. এরশাদ আলী (ব্যাটারী), মো. ওয়াহেদুজ্জামান সরকার (মোটরসাইকেল), মো. গোলাম কবীর (টেলিফোন) ও মো. সফিউল ইসলাম (আনারস)। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১২ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অপরদিকে সাদুল্লাপুর উপজেলায় ১০২টি ভোট কেন্দ্রে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধীকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৭৬ জন, নারী ভোটার ১ লাখ ৩০ হাজার ৫৭১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছে ৬ জন।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৭ জন প্রার্থী। তারা হলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শাহ্ মো. ফজলুল হক রানা (মোটরসাইকেল), সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সাইদুর রহমান মুন্সি (কাপ-পিরিচ), মো. রেজাউল করিম রেজা (আনারস), সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল ওয়াহেদ (ঘোড়া), মো. আজিজার রহমান (হেলিকপ্টার), মো. সাহীন আলম (টেলিফোন) এবং মো. নুর আজম মন্ডল নীরব (দোয়াত-কলম)। এছাড়া ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন ও নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এব্যাপারে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে এই দুই উপজেলার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ৫ জন পুলিশসহ ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

এছাড়া ২৭ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৯ প্লাটুন বিজিবিসহ র‌্যাবের ৩টি ও পুলিশের ২৮টি মোবাইল টিম।