মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি : একই পরিবারের ৫ জন আইসিইউতে

মাঝ আকাশে উড়োজাহাজে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি : একই পরিবারের ৫ জন আইসিইউতে

ছবিঃ সংগৃহীত।

গত ২১ মে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ আকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতির কবলে পড়ে। এতে উড়োজাহাজটিতে বেশ ঝাঁকুনি হয়। এ ঘটনায় এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। আইসিইউতে থাকা ব্যক্তিদের পরিবারের এক সদস্য ইভা খু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ইভা খু মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের বাসিন্দা।

এদের মধ্যে একই পরিবারের পাঁচজন আইসিইউতে আছেন। গত সপ্তাহে তার কাছে একটি ফোনকল আসে। বলা হয়, তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী উড়োজাহাজ মাঝ আকাশে প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে দুশ্চিন্তা না করতে তাকে পরামর্শ দেওয়া হয়।

তবে উড়োজাহাজটি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করার কয়েক ঘণ্টা পার হলেও ইভা তার স্বজনদের খোঁজ পাচ্ছিলেন না। লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরগামী ওই উড়োজাহাজে ইভার ভাই এবং ভাইয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ছিলেন। সঙ্গে তাদের এক বন্ধু এবং পরিবারের আরও চার সদস্য ছিলেন।

অবশেষে ঘটনার দিন গভীর রাতে ভাই খু বু লিওংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয় তার। ইভা খুকে মাত্র একটি শব্দ বলেছিলেন ভাই। তা হলো ‘আইসিইউ’। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইভা খু বলেন, এরপর তার কোনো কথা আমরা শুনতে পাইনি।

এতে আমি আরও দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। পরে ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয় তার। ভাইয়ের স্ত্রীও জানান, তিনি হাসপাতালে আছেন। কিন্তু অন্যরা কোথায় আছেন, তা জানেন না। ইভা খু বলেন, ২১ মে রাতটি অত্যন্ত দুশ্চিন্তায় কেটেছে তার। স্বজনরা মৃত না জীবিত, কিংবা তাদের আঘাত কতটা গুরুতর, সে ব্যাপারে তাদের কোনো ধারণা ছিল না।

পরদিন কুয়ালালামপুর থেকে ব্যাংককে গিয়ে দেখেন, সাতজনের সবাই হাসপাতালে ভর্তি। এর মধ্যে পাঁচজনকে সামিটিভেজ শ্রীনাকারিন হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইভা বলেন, শেষ পর্যন্ত তাদের দেখতে পেয়ে আমি স্বস্তি পেলাম। কিন্তু মেরুদণ্ড ও পিঠের আঘাতের কারণে তাদের অনেকের ঘাড় ও মাথায় ব্রেস পরানো ছিল। তা দেখে আতঙ্ক অনুভব করছিলাম।

তিনি জানান, পরিবারের পাঁচ সদস্যকে আরও কিছুদিন হাসপাতালে থাকতে হবে। এ পাঁচ সদস্যের মধ্যে তাঁদের বয়স্ক এক চাচাও আছেন। সেই চাচা বলেছেন, শিশুর প্রথম হাঁটা শেখার মতো করেই তিনি এখন হাঁটতে শিখছেন। উড়োজাহাজটি যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছিল। পরে এটি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জরুরি অবতরণ করে। উড়োজাহাজটিতে ২১১ যাত্রী ও ১৮ ক্রু সদস্য ছিলেন।