জুমার দিন মুনাফিকের তালিকায় স্থান পান যারা

জুমার দিন মুনাফিকের তালিকায় স্থান পান যারা

প্রতিকী ছবি

জুমার নামাজ ইসলামের অন্যতম একটি নামাজ। জুমা আরবি শব্দ, এর অর্থ একত্র হওয়া, সম্মিলিত হওয়া, কাতারবদ্ধ হওয়া। যেহেতু, সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিন শুক্রবারে প্রাপ্তবয়স্ক মুমিন-মুসলমান একটি নির্দিষ্ট সময়ে একই স্থানে একত্র হয়ে জামায়াতের সাথে সে দিনের জোহরের নামাজের পরিবর্তে এই নামাজ ফরযরূপে আদায় করে, সে জন্য এই নামাজকে ‘জুমার নামাজ’ বলা হয়।

জুমার দিন খুতবার আগেই মসজিদে চলে যাওয়া আবশ্যক। জুমার আজানের পর দুনিয়াবি কাজকর্ম করার ব্যাপারে কোরআনে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। দ্রুত মসজিদে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ, যখন জুমার দিনে সালাতের জন্য আহবান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের দিকে ধাবিত হও আর বেচা-কেনা বর্জন কর। এটাই তোমাদের জন্য সর্বোত্তম, যদি তোমরা জানতে। (সুরা জুমা: ৯

রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, জুমার নামাজ প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জামাতের সাথে আদায় করা ওয়াজিব। কিন্তু তা চার প্রকার লোকের উপর ওয়াজিব নয়; ক্রীতদাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি। (সুনান আবু দাউদ: ১০৬৭)

যাদের ওপর জুমা ওয়াজিব তাদের জুমা আদায়ে অবহেলা করার কঠোর নিন্দা এসেছে বিভিন্ন হাদিসে। গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া তিনটি জুমা ছেড়ে দিলে তাদের অন্তরে মোহর পড়ে যায় এবং মুনাফিকদের তালিকায় তাদের নাম লিখিত হয় বলে সতর্ক করা হয়েছে।

আবুল জা’দ জুমায়রি (রা.) থেকে বর্ণিত রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অলসতা করে ধারাবাহিকভাবে তিনটি জুমার জামাতে অনুপস্থিত থাকে, আল্লাহ তাআলা তার অন্তরে মোহর মেরে দেন। (সুনানে নাসাঈ: ১৩৭২) অর্থাৎ সেই অন্তর হেদায়াত পাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

উসামা ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ওজর ছাড়া তিনটি জুমা ছেড়ে দেয়, তার নাম মুনাফিকদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে লিখিত হয়ে যায়। (তাবরানি)

যারা অকারণে জুমার নামাজ ছেড়ে দেয়, হতে পারে জুমার এই বরকতময় দিনেই তাদের অন্তরে মোহর পড়ে যাবে এবং তাদের নাম আল্লাহর দরবারে মুনাফিক হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়ে যাবে। তাই এ ব্যাপারে সবার সতর্ক হওয়া কর্তব্য। জুমার ব্যাপারে অবহেলা করে মসজিদে যেতে বিলম্ব করাও সমীচীন নয়।