ঢাবিতে ৪ দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন

ঢাবিতে ৪ দিনব্যাপী ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন

সংগৃহীত

সংঘাতের ঊর্ধ্বে স্থায়িত্ব: ন্যায্য শান্তি প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগ- প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পর্দা উঠেছে চার দিনব্যাপী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলনের একাদশতম অধিবেশনের (ডানমান)। বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সংগঠনের (ডিইউমুনা) উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এবারের আয়োজন। অধিবেশনটি চলবে রবিবার (২ জুন) পর্যন্ত। 

ডিইউমুনার মহাসচিব এস এম নাহিয়ান ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার এবং ডিইউমুনার মডারেটর অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেইন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডোল্যান্ড এবং ডিইউমুনার সাবেক সভাপতি এম জে সোহেল।  

এস এম নাহিয়ান ইসলাম বলেন, আমরা একাত্মতার সাথে ফিলিস্তিনিদের পাশে আছি এবং এবারের প্রতিপাদ্যটি ন্যায় বিচারের প্রতি আমাদের প্রতিশ্রুতির একটি উদাহরণ।এবারের ইকুইটি পলিসির মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিনিধিবৃন্দ ও পরিচালনা পর্ষদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিচালনা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।  
তিনি জানান, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা, বিতর্ক ও সমাধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এ বছর মোট ১১টি কমিটি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীরা তাদের কূটনৈতিক ও যোগাযোগ দক্ষতা এবং উপস্থিত বক্তৃতার মতো গুণ বিকাশ করতে পারে। এবছর ৫টি নতুন কমিটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে-আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ), ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর ডিজাস্টার রিস্ক রিডাকশন (ইউএনডিআরআর), কমিটি অন দ্য পিসফুল ইউজেস অব আউটার স্পেস (সিওপিইউওএস), উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন মিলিটারি কমিটি এবং ব্রিকস গ্লাস সামিট।

উল্লেখ্য, দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন এবারের অধিবেশনে।