এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য অর্থমন্ত্রীর সুখবর

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য অর্থমন্ত্রীর সুখবর

ফাইল ছবি

প্রস্তাবিত দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেটে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য সুখবর রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তব্যে তথ্যটি তুলে ধরেন তিনি।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, এমপিওভুক্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতার অর্থ ইএফটি-তে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে। ফলে শিক্ষক ও কর্মচারীরা প্রথম কর্মদিবসে ঘরে বসে ব্যাংক হিসাবে সরাসরি ইএফটির মাধ্যমে বেতন-ভাতা পাবেন এবং তাদের ভোগান্তি কমবে।
এছাড়া এমপিওভুক্ত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ অনুদানের অর্থ ইএফটিতে প্রদানের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আশা করছেন— এর ফলে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের ভোগান্তি অনেকাংশে কমবে। 

এদিকে প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ৩৮ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৭২২ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষায়ও টাকার অংকে বরাদ্দ বেড়েছে। এ খাতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য ১১ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১০ হাজার ৬০২ কোটি টাকা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় ৪৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ৪২ হাজার ৮৩৯ কোটি টাকা।

উল্লেখ্য, এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট। বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধন করে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়।