সরকারি খরচায় ২৮৩৩০ শ্রমিককে আইনি সহায়তা প্রদান

সরকারি খরচায় ২৮৩৩০ শ্রমিককে আইনি সহায়তা প্রদান

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার অধীনে সরকারি খরচায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জনকে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সংস্থার অধীনে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীকে আইনি সেবা প্রদান করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সরকারী খরচায় লিগ্যাল এইডে অসচ্ছল বিচারপ্রার্থীদের আইনি সহায়তার বিস্তারিত তথ্য এই প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এ সময়ে সারাদেশে সরকারি খরচায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৮৬ মামলায় আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৯৪ হাজার ১২২ টি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি সেবার (এডিআর) মাধ্যমে লিগ্যাল এইডে মামলা নিস্পত্তি হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯১৩টি। এডিআর এর জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৯৫৮ টি মামলায়। এ সময়ের মধ্যে আইনি পরামর্শ সেবা দেয়া হয়েছে ৪ লাখ ৫ হাজার ৯২টি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেবা গ্রহণকারীদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৪২৪ জন, দেশের ৬৪ টি জেলার লিগ্যার এইড অফিসের মাধ্যমে ৮ লাখ ২ হাজার ৪০৭ জন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শ্রমিক আইনি সহায়তা সেলের মাধ্যমে ২৮ হাজার ৩৩০ জন। জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার নির্ধারিত হটলাইন কলসেন্টার ১৬৪৩০ নম্বরে (টোল ফ্রি) ১ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৭ জনকে বিনামূল্যে (সরকারি খরচায়) আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। জাতীয় হেল্পলাইন সৃষ্টির আগে হটলাইনের মাধ্যমে ১৭ হাজার ৩২৮ জনকে সরকারি খরচায় আইনি সেবা প্রদান করা হয়।

সরকার ২০১৩ সালের ২৮ এপ্রিল তারিখকে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ ঘোষণা করেন। সকল মানুষের বিচার অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম প্রচারের মাধ্যমে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়।

দেশে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগণকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রণয়ন করা হয়। ২০০০ সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকারগুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামীলীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। 

দেশের সকল আদালত, সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে ‘লিগ্যাল এইড’ এখন দরিদ্র ও অসহায় বিচারপ্রার্থীদের নিকট ভরসাস্থল হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে সংস্থাটি জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করে। পরবর্তী সময়ে সুপ্রিমকোর্ট, শ্রম আদালতসত বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর ব্যাপ্তি বৃদ্ধি পায়। সুপ্রিমকোর্টে ২০১৫ সালে লিগ্যাল এইড প্রতিষ্ঠা করা হয়।