পাকিস্তানি গান চুরি করে ‘আশিকির’ সুর তৈরির অভিযোগ

পাকিস্তানি গান চুরি করে ‘আশিকির’ সুর তৈরির অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

একের পর এক কালজয়ী গানে সাজানো আশিকি ছবির অ্যালবাম। কুমার শানুর মায়াবী কণ্ঠ যেন ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ঝড় তুলেছিল। বলিউডের সবচেয়ে বড় মিউজিক্যাল হিট ছবির তালিকায় একদম উপরে আশিকির নাম। মুক্তির তিন দশক পরেও এই ছবির গানগুলো সবার মাঝে জনপ্রিয়।

তবে এবার আশিকি-র সঙ্গীত পরিচালকদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ যতীন-ললিত জুটির অংশ থাকা ললিত পণ্ডিতের। তার দাবি রাহুল রায় এবং অনু আগরওয়াল অভিনীত ছবির গান তৈরি করার জন্য নাদিম-শ্রাবণ পাকিস্তানি গান চুরি করেছিলেন। 

নাদিম-শ্রাবণ সম্পর্কে কথা ললিত বলেন, 'সত্যি বলতে নাদিম-শ্রাবণের সংগীত আমাদের স্টাইলের ছিল না। তাই নাদিম দুবাই যেত, সেখান থেকে সে প্রচুর পাকিস্তানি ক্যাসেট কিনত, এখানে রিপ্রোডিউস করত। গোটা ইন্ডাস্ট্রি এটা জানে।

তিনি আরও দাবি করেন, ‘আশিকির গানগুলো আসলে পাকিস্তানি গান। অনেক গান! একজন সুরকারের উচিত গানে তাদের শৈলী প্রতিফলিত করা। আমাদের গান শুনলে সঙ্গে সঙ্গে বুঝে যাবেন এটা যতীন-ললিত গান, কারণ সবই আমরাই করেছি।’

নাদিম-শ্রাবণ এর ‘আশিকি’ গানগুলি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছিল। ধীরে ধীরে, বস এক সনম চাহিয়ে, নজর কে সামনে এবং জানে জিগার জানেমন- অল্পবয়সীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ‘সাজন’, ‘ফুল অউর কাঁটে’, ‘সড়ক’, ‘দিল হ্যায় কে মানতা নেহি’, ‘দিওয়ানা’, ‘রাজা হিন্দুস্তানি’, ‘ধড়কান’-এর মতো ছবির গানও কম্পোজ করেছেন এই জুটি।

যতীন-ললিত বলিউডের বহু জনপ্রিয় ছবিতে সঙ্গীতের জন্য পরিচিত। জো জিতা ওহি সিকান্দার, খিলাড়ি, রাজু বন গয়া জেন্টলম্যান, কাভি হাঁ কাভি না, দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে, খামোশি: দ্য মিউজিক্যাল, ইয়েস বস, প্যায়ার কিয়া তো ডরনা কেয়া, কুছ কুছ হোতা হ্যায়, সরফরোশ, মহব্বতেঁ, কাভি খুশি কভি গম, চলতে চলতে, হাম তুম এবং ফানার মতো ব্লকবাস্টার ছবির গানের দায়িত্ব ছিলেন তারা।