কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন, মহাসচিব আবু হানিফ

কল্যাণ পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন, মহাসচিব আবু হানিফ

সংগৃহীত

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির (একাংশ) প্রতিনিধি সভা ও বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১২ জুন) নগরীর একটি হলরুমে উপস্থিত কাউন্সিলরদের ভোটে মো. শামসুদ্দিন পারভেজ চেয়ারম্যান, মুহাম্মদ আবু হানিফ মহাসচিব নির্বাচিত হন।

আয়োজকেরা অভিযোগ করেন যে, বিশেষ মহলের প্রত্যক্ষ মদদে এবং প্রশাসনের বাধায় প্রথমে জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হল এবং পরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনের বুকিং বাতিল করা হয়। এরপর বুধবার বিকেলে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব মো. এরশাদুর রহমান প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিনিধি সভা ও বিশেষ কাউন্সিলে সারাদেশ থেকে আগত প্রতিনিধি ও কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। ২০২৩ সালের ১০ ডিসেম্বর পার্টির গঠনতন্ত্রের ধারা ২০(ঙ) অনুচ্ছেদ-১ এবং ধারা ৬ (ঙ) নং ধারা মোতাবেক সাবেক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইবরাহিম, তৎকালীন মহাসচিব ও অতিরিক্ত মহাসচিব যথাক্রমে আব্দুল আউয়াল মামুন এবং আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব এর আজীবন বহিষ্কার অনুমোদন করে।

সভাপতির বক্তব্যে শামসুদ্দিন পারভেজ বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি, অথচ আমাদের ঘরেই যে বিশ্বাসঘাতক ছিল তা আমাদের বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয়। আমরা দলীয়ভাবে এবং জোটগতভাবে সারাদেশে সফর করে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছি। দলের শুরু থেকেই আমরা কল্যাণ পার্টির রাজনীতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত, সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির নেতৃত্বে এবং জোট হিসেবে ১২ দলীয় জোট গঠনের সময় থেকেই আন্দোলন-সংগ্রামে আমরা কল্যাণ পার্টি ছিলাম, আছি এবং থাকব।

নতুন মহাসচিব আবু হানিফ বলেন, আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছিলাম তা অব্যাহত আছে। ইতিহাস সাক্ষী আমরা অন্যায়ের কাছে কখনো মাথা নত করি নাই এবং টাকার বিনিময়ে আমরা কারও কাছে বিক্রিও হই নাই। এই অপশক্তি ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ও আইনের শাসন ফেরত আসবে না। তিনি জাতীয় প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ কর্তৃপক্ষের অসহায়ত্ব বোধের তীব্র নিন্দা জানান।

সারাদেশ থেকে আগত উপস্থিত কাউন্সিলরগণ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ১২১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি গঠনের দায়িত্ব প্রদান করেন।

সূত্র জানায়, ১৭ জুন বাংলাদেশে ঈদ উদযাপিত হবে। আর স্কুলগুলোতে ষাণ্মাসিক মূল্যায়ন ৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রয়োজনে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষাণ্মাসিক মূল্যায়নের পাঠ্যসূচি শেষ করতে প্রয়োজনে ঈদের ছুটিতে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। 

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদের ছুটির আগে অর্থাৎ ১২ জুনের মধ্যে নির্ধারিত শিখন অভিজ্ঞতা শেষ করতে হবে।

তা করা না গেলে বিকল্প উপায় খুঁজতে বলা হয়েছে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীরা কী করবে তা বুঝিয়ে দেওয়া, দলগত কাজের পরিবর্তে একক কাজ দেওয়ার বিকল্প অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষকদের প্রয়োজনে অনলাইন ক্লাস নিয়ে, অভিভাবকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গ্রুপ বা মোবাইল গ্রুপে নির্দেশনা দিয়ে বাড়িতে থাকার সময় শিক্ষার্থীদের কাজ পর্যবেক্ষণ করতে বলেছে এনসিটিবি।