সুনামগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে পানি, পানিবন্দী লাখো মানুষ
![সুনামগঞ্জে হু হু করে বাড়ছে পানি, পানিবন্দী লাখো মানুষ](https://newszonebd.com/public/images/news/Sunam-1718685882.jpg)
সংগৃহীত
পাহাড়ি ঢল আর ভারী বর্ষণে ফের বাড়ছে সুরমা নদীর পানি। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল থেকেই পানি বেড়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
সুরমা নদীর পানি সুনামগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ও ছাতক পয়েন্টে ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর রাত থেকে সুনামগঞ্জে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের ফলে শহরে ফের পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করায় অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০টি পরিবার এরইমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। বসতভিটায় পানি ওঠায় বাধ্য হয়ে সোমবার রাত থেকে পরিবার পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে এখানে আশ্রয় নিয়েছে শ্রমজীবী মানুষ। গ্রামীণ সড়ক একের পর এক ডুবছে। জেলার ছাতক থেকে গোবিন্দগঞ্জ সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ বানের পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব সড়কের ওপর দিয়ে তীব্র স্রোত যাচ্ছে। এছাড়া, সোমবার থেকেই প্লাবিত আছে জেলার ১০ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। ভোগান্তিতে আছে দুই লাখের বেশি মানুষ।
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ও গতরাতে সুনামগঞ্জে অস্বাভাবিক অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানি আসছে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদী দিয়ে।
এছাড়া নদীর পানি প্রবেশ করছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়। প্লাবিত হতে শুরু করেছে নিম্নাঞ্চল।
পাউবো জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৩৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে আর চেরাপুঞ্জিতে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে বাড়তে পারে নদ-নদীর পানি।
এছাড়াও জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, সুনামগঞ্জ সদর ও তাহিরপুর উপজেলার অন্তত ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে। জেলার অন্তত শতাধিক অভ্যন্তরীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বাসিন্দারা।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, বৃষ্টিপাত আরও ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকবে এবং নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।