১৪ ঘন্টায় তানজিমের রেকর্ড ভাঙলেন ফার্গুসন

১৪ ঘন্টায় তানজিমের রেকর্ড ভাঙলেন ফার্গুসন

ছবি: সংগৃহীত

আজ ভোরে নেপালের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে ২১টি ডট বল দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের কোটা পূর্ণ করার সময় সবচেয়ে বেশি ডট বল করার রেকর্ড গড়েছিলেন তানজিম হাসান সাকিব। ৪ ওভার বল করে ২১টি ডট দিয়ে তিনি শিকার করেন ৭ রানে ৪ উইকেট। 

বিশ্বকাপে তার সেই ডট বলের রেকর্ড স্থায়ী হয়েছে মাত্র ১৪ ঘন্টা। নিউজিল্যান্ডের বোলার লকি ফার্গুসন ৪ ওভার বল করে পুরো কোটার সবকটি বল ডট দিয়ে ভেঙে দিয়েছেন সাকিবের রেকর্ড। এই সময় তিনি শিকার করেন ৩টি উইকেট।

সোমবার (১৭ জুন) পাপুয়া নিউ গিনির বিপক্ষে চার ওভার বল করে চার ওভারই মেডেন দেন এই গতিতারকা। তার করা চার ওভার থেকে দুটো লেগ বাই ছাড়া কোনো রান আদায় করতে পারেনি পিএনজির ব্যাটাররা। এই দুই বাই রান অতিরিক্ত রানের খাতায় যোগ হয় বলে ফার্গুসনের নামের পাশে যোগ হয়নি কোনো রান। ফলে কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফরের পর দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পুরো চার ওভার মেডেন দেওয়ার রেকর্ড গড়েন এই পেসার। আর বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে পুরো চার ওভারই মেডেন দেওয়া প্রথম বোলার এই কিউই পেসার।

পঞ্চম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই ফেরান পিএনজির অধিনায়ক আসাদ ভালাকে। স্লিপে ক্যাচ দেন ড্যারিল মিচেলকে। সেই ওভারে বাকি পাঁচ বল খেলেন শেশে বাও, তিনি নিতে পারেননি কোন রান। সপ্তম ওভারে আবারও উইলিয়ামসন বল তুলে দিলে আস্থার প্রতিদান দেন আরেকটি মেডেন ওভারে। এবারও ব্যাটার ছিলেন শেশে বাও। বারোতম ওভারে আরেকবার আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন চার্লস আমিনিকে। তিনি খেলেন সেই ওভারে দুই বল। বাকি চার বল খেলে হিরি হিরি কোনো রান যোগ করতে ব্যর্থ হলে ফার্গুসন পেয়ে যান তৃতীয় মেডেন। 

চৌদ্দতম ওভারের দ্বিতীয় ওভারে চাদ সোপারকে বোল্ড করে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন এই পেসার। পরের বলে লেগ বাইতে দুই রান পেলেও সেটি যায় অতিরিক্তের খাতায়। কিপলিন দোরিগা বাকি তিন বল খেলে ব্যর্থ হন একটি রানও নিতে। ফলে ইতিহাস গড়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম বোলার হিসেবে চারটি মেডেন তথা চব্বিশ বল ডট দেওয়ার রেকর্ড গড়েন লকি ফার্গুসন।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে পানামার বিপক্ষে কানাডার অধিনায়ক সাদ বিন জাফর পানামার বিপক্ষে চারটি মেডেন দিয়ে শিকার করেন দুই উইকেট। সেটি ছিল আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোনো বোলার প্রথম চার মেডেন ওভার করার রেকর্ড।