ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় যুক্ত হলো কিউবা

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলায় যুক্ত হলো কিউবা

সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজায় জেনেভা কনভেনশনের তোয়াক্কা না করে অভিযানের নামে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। 

এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলায় যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কিউবা। খবর আনাদোলুর।

এর আগে মিসর, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, নিকারাগুয়া, কলম্বিয়া, লিবিয়া, মালদ্বীপ, তুরস্ক ও চিলি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায়  আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

শুক্রবার (২১ জুন) কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কিউবা আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার গণহত্যার অভিযোগকে সমর্থন করবে। কারণ, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে নেতানিয়াহু সরকারের ক্রমবর্ধমান নৃশংস হামলা বন্ধের কোনো লক্ষণ নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গণহত্যা, বর্ণবাদ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং নির্বিচারে হত্যা আজকের বিশ্বে স্থান পেতে পারে না।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এসব সহ্য করতে পারে না। ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত গণহত্যা বন্ধ করতে বৈধ আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে যথাসম্ভব সমর্থন করে দেশটি। তাই মামলায় অবদান রাখতে কিউবা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে। 

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা দায়ের করে। দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলের কার্যক্রমে গণহত্যার আচরণ স্পষ্ট। তারা ফিলিস্তিনি জাতীয়তা, জাতিগত ও নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে হামলা করছে।

কিউবা আরো জানিয়েছে, মার্কিন মদদে ইসরায়েল এভাবে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে।

মামলার আবেদনে বিচারকদের কাছে আরজি পেশ করা হয় যে, ইসরায়েল গাজায় গণহত্যা করছে, তা যেন ঘোষণা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় নির্বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধে নেতানিয়াহু সরকারকে নির্দেশ দেয়ার আবেদন করা হয়।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতর ঢুকে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ১২শ’ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। পাল্টা হামলা চালিয়েছে ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। কিন্তু এই যুদ্ধে স্পষ্ট জয় বা পরাজয় নির্ধারণ হয়নি। ইসরায়েল গাজায় ঢুকে হামলা অব্যাহত রাখলেও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাদের পরাজিত করতে পারছে না। এ কারণে ইসরায়েলের ভেতরেই চাপে পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার।