মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

মুখের দুর্গন্ধ হতে পারে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ

ছবি: সংগৃহীত

একসময় বেশিরভাগ মানুষ ভাবতেন যাদের মদ্যপানের অভ্যাস রয়েছে তাদের লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ধারণা কিন্তু পুরোপুরি ঠিক নয়। অতিরিক্ত মদ্যপান লিভার সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় এ কথা ঠিক, কিন্তু নিয়মিত মদ্যপান করেন না এমন মানুষও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। 

লিভারে অতিরিক্ত পরিমাণ স্নেহপদার্থ জমার কারণে ফ্যাটি লিভার সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে এই রোগের খুব বেশি উপসর্গ দেখা যায় না। তবে এমন একটি উপসর্গ রয়েছে যা ফ্যাটি লিভারের ইঙ্গিত দেয়। এই উপসর্গটি হলো মুখের দুর্গন্ধ। 

ফ্যাটি লিভার সমস্যার অদ্ভুত একটি লক্ষণ ‘মৃতের শ্বাস’। বিজ্ঞানের ভাষায় যা ‘ফেটর হেপাটিকাস’ নামে পরিচিত। মূলত মৃতের শ্বাস বলতে এক প্রকার দীর্ঘস্থায়ী গন্ধকে বোঝানো হয় যা যা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ও মুখের গন্ধ থেকে একদমই আলাদা। 

আরও পড়ুন- ফ্যাটি লিভার: লক্ষণ ও করণীয় জানুন
নির্দিষ্ট কোনো খাবার খাওয়ার পর কিংবা সকালে নিশ্বাসের দুর্গন্ধ আসা স্বাভাবিক। কিন্তু ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের মুখ থেকে সবসময়ই দুর্গন্ধ আসতে থাকে। সারা দিন তাদের নিশ্বাসে সালফারের মতো তীব্র গন্ধ থাকে। এটি ফ্যাটি লিভার রোগের একটি সুস্পষ্ট লক্ষণ। এই লক্ষণ কোনোভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। 

শরীরের বিভিন্ন বিষাক্ত পদার্থ ও ভারী ধাতুকে রক্ত থেকে পরিশুদ্ধ করা লিভারের মূল কাজ। যকৃৎ বা লিভার যখন সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না, তখন এই উপাদানগুলো দেহের বিভিন্ন অঙ্গে জমা হতে থাকে। এই ধরনের একটি পদার্থ হল ডাইমিথাইল সালফেট। 

আরও পড়ুন- ফ্যাটি লিভার থেকে কি হার্ট অ্যাটাক হতে পারে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
শ্বাসনালী ও শ্বসনতন্ত্রেও এই উপাদান জমতে পারে। এটি শ্বাসের মাধ্যমে নির্গত বাতাসের সঙ্গে মিশ্রিত হয় বলেই এমন ঘটনা ঘটে। মুখের গন্ধের পাশাপাশি লিভারের সমস্যায় আরও যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো প্রস্রাবের রঙ হলুদ হয়ে যাওয়া, পেটে ব্যথা, অল্প পরিশ্রমে ক্লান্ত হয়ে পড়া, পা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। 

এসব উপসর্গ দেখা দিলে সময় নষ্ট না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ সেবনে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন আপনি।