ফের ধর্মঘটে ইংল্যান্ডের চিকিৎসকরা

ফের ধর্মঘটে ইংল্যান্ডের চিকিৎসকরা

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যে আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। এই আবহের মধ্যেই ফের ধর্মঘট ডেকেছেন দেশটির প্রধান রাজ্য ইংল্যান্ডের জুনিয়র চিকিৎসকরা।

এক প্রতিবেবেদনে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্যসেবা দপ্তর ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) ইংল্যান্ড শাখার আওতাভুক্ত বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা।

সেই ঘোষণা অনুযায়ী, বিশেষজ্ঞ বা কনসালটেন্ট পর্যায়ের নিচে থাকা সব চিকিৎসক আগামী ৫ দিন তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকবেন।

চিকিৎসক নেতারা জানিয়েছেন, যৌক্তিক বেতন-ভাতার দাবিতে গত ১৮ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই ধারাবাহিকতাতেই ঘোষণা করা হয়েছে এই কর্মসূচি।

করোনা মহামারির পর থেকে মূল্যস্ফীতি শুরু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। খাদ্য, আবাসন, বিদ্যুৎসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে; কিন্তু সেই অনুপাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেনি সরকার।

ফলে ব্যাপক অর্থনৈতিক চাপে থাকা এই চিকিৎসকরা মূল বেতন ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির দাবিতে ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন। এর মধ্যে সরকারের সঙ্গে তাদের কয়েক বার আলোচনা হয়েছে, কিন্তু ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি কোনো পক্ষই।

এদিকে চিকিৎসকদের টানা আন্দোলন কর্মসূচির জেরে ভুক্তভোগী হচ্ছেন দেশটির সাধারণ জনগণ। সাধারণ অসুখ বা শারীরিক সমস্যায় আক্রান্তদের থেকে শুরু করে ক্যানসারের রোগীরাও যথাযথ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না। সার্জারির রোগীদের চিকিৎসাও সময়মতো হচ্ছে না।

চিকিৎসক নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির শীর্ষ নেতা ঋষি সুনাক যদি তাদের দাবির প্রতি আন্তরিক হন এবং আলোচনার টেবিলে আসনে— তাহলে তারা কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেবেন।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এ পর্যন্ত এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। বিরোধী দল লেবার পার্টির মুখপাত্র ওয়েস স্ট্রিটিং এ প্রসঙ্গে এএফপিকে বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের বেতন ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাবের সঙ্গে তারাও একমত নন, কিন্তু দাবিকে একটি ‘যৌক্তিক পর্যায়ে’ আনতে তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী।