কুকুরকে অতিরিক্ত খাওয়ানোয় মৃত্যু, নারীর জেল

কুকুরকে অতিরিক্ত খাওয়ানোয় মৃত্যু, নারীর জেল

ছবিঃ সংগৃহীত।

কুকুরটির ওজন ছিল ৫৩ কেজি (১১৮ পাউন্ড) এবং শরীর ছিল প্রচণ্ড স্থূল। বেশি খাওয়ানোর কারণে কুকুরটির মৃত্যু হওয়ায় নিউজিল্যান্ডে এক নারীকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাকে ৭২০ ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। নিউজউইকের একটি প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে।

সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু অ্যানিম্যালস (এসপিসিএ) এর একটি বিবৃতি অনুসারে, নুগি নামের কুকুরটিকে পুলিশ ২০২১ সালে প্রায় ৫৪ কেজি (১২০ পাউন্ড) ওজনের এবং মুমূর্ষু অবস্থায় খুঁজে পেয়েছিল। এরপর নুগিকে তার মালিকের অকল্যান্ডের বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই বাড়িতে পুলিশ আরো অনেকগুলো কুকুর খুঁজে পেয়েছিল এবং এসপিসিএর কাছে হস্তান্তর করেছিল।

এসপিসিএ-এর তত্ত্বাবধানে থাকাকালীন দুই মাসে নুগির ৮.৮ কেজি ( ১৯.৬ পাউন্ড) কমে যায়।

কিন্তু ওজন কমে গেলেও লিভারের রক্তক্ষরণে মারা যায় নুগি। সংস্থাটি দাবি করেছে, ময়নাতদন্তে অসুস্থতা এবং লিভারের সমস্যাসহ অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সমস্যাগুলো ধরা পড়ে।

মালিকে কুকুরের চিকিৎসা এবং শারীরিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ফলস্বরূপ, অকল্যান্ডের মানুকাউ জেলা আদালত মালিককে দুই মাসের জেল এবং ৭২০ ডলার জরিমানাও করেন।

এটাও বলা হয়েছে, তাকে এক বছরের জন্য কুকুর রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না।

এসপিসিএ-এর বিবৃতি অনুসারে, স্টেথোস্কোপ ব্যবহার করে পশুচিকিত্সকরা নুগির হৃদস্পন্দন সনাক্ত করতে করতে পারতেন না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে অতিরিক্ত ওজন। এ ছাড়া কুকুরটির গায়েও প্রচুর ত্বকের বৃদ্ধি পেয়েছিল। বিশেষ করে তার কনুই ও পেটের দিকে।

নুগির নখরগুলোও বড় বড় ছিল এবং চোখে সংক্রমণও ঘটেছিল। 

এসপিসিএ প্রধান টড ওয়েস্টউড বলেছেন, কুকুরটিকে অত্যধিক খাওয়ানো হয়েছে এবং স্পষ্টভাবে সঠিক যত্ন নেওয়া হয়নি। ওয়েস্টউড এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের দেখা সবচেয়ে স্থূল প্রাণীদের মধ্যে একটি ছিল নুগি।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে, আমরা প্রতিদিন এমন প্রাণী দেখি যেগুলো কম ওজনের, ক্ষুধার্ত বা অপুষ্টিতে ভুগছে। তবে এই ধরনের অসহায় প্রাণীকে দেখাও সমানভাবে হৃদয়বিদারক। যাকে মারাত্মকভাবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ানো হয়েছে।’

এসপিসিএ আরো জানিয়েছে, পোষা কুকুরটিকে শুকনো খাবারের সঙ্গে প্রতিদিন প্রায় ১০ পিস মুরগির মাংস খাওয়ানো হয়। শ্বাস নিতেও কষ্ট হতো নুগি।