গাইবান্ধায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ
সংগৃহীত
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, গুলি, হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে গাইবান্ধা জেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে ‘রিমেম্বারিং দা হিরোস’ কর্মসূচি পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এরপর তাদের মিছিলে পুলিশ বাধা দিয়ে শিক্ষার্থীদেরকে ছত্রভঙ্গ করেন। একপর্যায়ে লাঠিচার্জও করে পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীরাও ইটপাটকেল ছুড়ে মারেন ।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) গাইবান্ধা শহরের বাস টার্মিনাল এলাকার কাদির অ্যান্ড সন্স তেলের পাম্পের সামন থেকে একটি মিছিল বের করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।
পরে মিছিলটি পলাশ পাড়া মোড় হয়ে ইউটার্ন নিয়ে ডিসি অফিসের সামনে যায়। এরপর তারা বাস টার্মিনাল এলাকার আর রহমান তেলের পাম্পের সামনে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ কারণে রাস্তার দু’পাশের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে ফেলে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের চারপাশ ঘিরে রাখে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেয় গাইবান্ধা বার অ্যাসোসিয়েশনের বেশকিছু আইনজীবী। এ সময় ভুয়া ভুয়া স্লোগানসহ বিভিন্ন শ্রোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা।
পরে সড়ক অবরোধের পর বিক্ষোভকারীরা গাইবান্ধা শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বাধা দেয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় বিক্ষোভকারীরা একত্রিত হয়ে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করতে থাকে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।