জামায়াত-শিবিরের বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

জামায়াত-শিবিরের বক্তব্য-বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না: অ্যাটর্নি জেনারেল

ফাইল ছবি

সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনের বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তার মতে, নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন বা ব্যক্তির কোনো বিবৃতি, মন্তব্য, অভিমত ও উক্তি কোনোভাবেই প্রচার-প্রকাশ করা যাবে না।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯-এর ধারা ১৮(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ এর সব অঙ্গসংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

সন্ত্রাসবিরোধী আইন, ২০০৯ (২০০৯ সনের ১৬ নম্বর আইন) এর ২০ এর ১ ধারা মতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার। আইনে বলা হয়েছে, ২০-এর ১-এর ঙ ধারা মতে তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা নিষিদ্ধ সত্তার প্রেস বিবৃতির প্রকাশনা, মুদ্রণ বা প্রচারণা নিষিদ্ধ করবে সরকার।

একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা জামায়াত আগেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হারিয়েছে। গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন ‘অবৈধ ও বাতিল’ ঘোষণা করে রায় দেয়। গত বছর আপিল বিভাগ হাইকোর্টের ওই রায় বহাল থাকে। যার ফলে বিএনপির এক সময়ের শরিক জামায়াত নির্বাচন করার যোগ্যতা হারায়।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তা করতে রাজাকার, আলবদর, আলশামস্ নামে বিভিন্ন দল গঠন করে জামায়াত ও এর তখনকার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘ, যার পরে নাম হয় ইসলামী ছাত্র শিবির। সারা দেশে সেময় হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের মতো যুদ্ধাপরাধ ঘটায় জামায়াত। যুদ্ধাপরাধ মামলার বিভিন্ন রায়েও বিষয়গুলো উঠে আসে। একটি মামলার রায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল দল’ আখ্যা দেন।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ‘ধর্মের অপব্যবহারের’ কারণে নিষিদ্ধ হয় জামায়াত। জাতির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের আমলে দলটিকে রাজনীতি করার অধিকার দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের আমলেও জামায়াতে ইসলামি নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো।