যশোরে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার মিছিল

যশোরে প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার মিছিল

ছবি: প্রতিনিধি

তরিকুল ইসলাম তারেক,যশোর: প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে স্লোগানে  স্লোগানে যশোরের রাজপথ প্রকম্পিত করলো ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোরে শান্তিপূর্ণভাবে সফল হলো গণমিছিল।

কর্মসূচিকে ঘিরে ২ আগস্ট শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে শহরের পালবাড়ি অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য মোড়ে জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা প্রথমে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সারা দেশে নিহত শহীদ ছাত্রদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে সম্মিলিত দোয়া ও মোনাজাত করেন। এছাড়া হিন্দু ধর্মের শিক্ষার্থীরা তাদের ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী প্রার্থনা করেন।

এসময় আশ-পাশের প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক, সাধারণ জনতা, যশোরের বেশ কিছু আইনজীবী, সাংবাদিক, অভিভাবক ও অন্যান্য পেশার মানুষ তাদের সাথে স্বতস্ফুর্ত সংহতি প্রকাশ করেন। কিছুক্ষণ পর তারা জড়ো হয়ে গণমিছিল শুরু করে। মিছিলে তাদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন শোভা পাচ্ছিল।

স্লোগান ছিল এরকম, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিব না। দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত। এই রক্তের বন্যায়/ভেসে যাবে অন্যায়। আমার ভাই মরলো কেন? খুনি হাসিনা জবাব দে। ছাত্রদের বুকে গুলি কেন? খুনি হাসিনা জবাব দে। এক দুই তিন চার শেখ হাসিনা তুই গদি ছাড়! আপোস না সংগ্রাম/সংগ্রাম-সংগ্রাম। ডিকটেটরের দুই নয়ন উন্নয়ন উন্নয়ন। শেম, শেম হাসিনা। ছি! ছি! হাসিনা, লজ্জায় বাঁচিনা।

এধরনের নানা স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে পুলিশ লাইন রোড হয়ে পুরাতন বিমান অফিস মোড়ে কিছু সময় দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে তারা। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কয়েকজন ছাত্র এবং মায়েরা বক্তৃতা করেন। এসময় মায়েরা প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে সাথে নিয়ে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানান। তারা বলেন, আমাদের ছেলেদের বুকের তাজা রক্ত ঝরেছে। আমরা খুনি হাসিনা পতন ছাড়া রাজপথ ছাড়বো না।

পরে আবার মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রাণকেন্দ্র দড়াটানা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সাথে তাদের অভিভাবক এবং কিছু পেশাজীবীরা অংশ গ্রহণ করেন।

প্রচন্ড বৃষ্টি উপেক্ষা করে গণমিছিল অব্যহত রাখে ছাত্ররা। বৃষ্টির মধ্যে মিছিল চলাকালে আশ-পাশের বাসা-বাড়ির মহিলাদের পলিথিন নিয়ে এসে ছাত্রদের হাতে দিয়ে সহযোগিতা করতে দেখা যায়। পলিথিনগুলো দিয়ে ছাত্ররা বৃষ্টিতে কেউ তাদের মাথা এবং কেউ মোবাইল ফোন রক্ষা করার চেষ্টা করেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রীদের মিছিলে অংশ নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।