ইসরায়েলের সমর্থনে যুদ্ধজাহাজ-বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের সমর্থনে যুদ্ধজাহাজ-বিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

ফাইল ছবি

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ইরান ও তার প্রক্সিদের সম্ভাব্য হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করতে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েন করবে। স্থানীয় সময় শুক্রবার এ তথ্য জানানো হয়।

শনিবার (৩ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও লেবাননের সশস্ত্রীগোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এসব হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে ইরান ও তার সমর্থিত মিত্র বাহিনী। এরইমধ্যে ইসরায়েলকে কঠোর জবাবের হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছ তারা। এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

তেহরানে সফরকালীন সময়ে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ইসরায়েলকে ‘কঠোর শাস্তি’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

গত বুধবার ইরানের রাজধানী তেহরানে নিহত হন হামাস নেতা। ইরান ও হামাস এ ঘটনার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করেছে। তবে ইসরায়েল দায় স্বীকার করেনি।   

তেল আবিব দাবি করেছে, তারা লেবাননে ইরানের প্রক্সি হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে হত্যা করেছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইরানে হামাস নেতা ‍নিহত হন।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নতুন মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর সুরক্ষায় উন্নতি ঘটাবে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষার জন্য সমর্থন বাড়াবে এবং নিশ্চিত করবে যে যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সাড়া দিতে প্রস্তুত।’ 

পেন্টাগন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে রণতরী ইউএসএস থিওডোর রুজভেল্টের পরিবর্তে ইউএসএস আব্রাহাম লিঙ্কন পাঠানো হবে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, প্রতিরক্ষাসক্ষম ক্রুজার, ডেস্ট্রয়ার এবং একটি নতুন ফাইটার স্কোয়াড্রন পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। 

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ঘটনার পরও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক বাহিনীর মোতায়েন জোরদার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।

হামাস প্রধান হানিয়াকে হত্যার ঘটনায় ইসরায়েল সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ বৈরুতে হিজবুল্লাহর শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শোকরকে হত্যাসহ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শত্রুদের ‘চূর্ণবিচূর্ণ আঘাত’ দিয়েছে।

তিনি ইসরায়েলিদের সতর্ক করে বলেছেন, ‘সামনের দিনগুলো চ্যালেঞ্জিং, আমরা সব দিক থেকে হুমকি শুনেছি। তবে আমরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’