গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক নিহত

গাজার স্কুলে ইসরায়েলি হামলায় শতাধিক নিহত

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েল। হামলায় শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

গাজা শহরের দারাজ এলাকায় আল-তাবিন স্কুলে বর্বরোচিত হামলা চালায় ইসরায়েল। হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন। খবর আল জাজিরার।

স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত হওয়া হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। হামলার পর ধুলো ও ধ্বংসস্তূপে ঢাকা পড়ে যায় ওই এলাকা। ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন সড়কে প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুরা চিৎকার করছে। অনেকে হতাহতদের সাহায্য করতে দৌড়াচ্ছে।

ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) বলেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে ইতোমধ্যেই ঘনবসতিপূর্ণ আল-মাওয়াসি এলাকায় সরিয়ে নিতে বাধ্য করেছে।

এদিকে কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতারা গাজায় সংঘাতের অবসানের লক্ষ্যে ১৫ আগস্ট আবার আলোচনা শুরু করার জন্য ইসরায়েল এবং হামাসকে চাপ দিয়েছে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৬৯৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯১ হাজার ৭২২ জন।

হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।