চাঁদপুর কালি মন্দিরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়

চাঁদপুর কালি মন্দিরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময়

সংগৃহীত ছবি

চাঁদপুর কালি মন্দিরের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা বিএনপির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।রোববার (১১ আগস্ট) বিকেলে কালি মন্দিরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তমাল কুমার ঘোষের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বিএনপি কখনও সাম্প্রদায়িকতা বিশ্বাস করে না। আপনারা কেউ গুজবে কান দিবেন না। সুযোগ সন্ধানী থেকে সকল কে সজাগ থাকতে হবে। মনে কেউ ভয় রাখবেন না, যে যার ধর্ম নির্ভয়ে পালন করবেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনাদের পাশে থাকতে চাই। আমাদের কোন ভয় নেই এই ম্যাসেজটি সকলের কাছে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ পৌঁছে দিবেন। যারা ঘরের বাহিরে রয়েছে তাদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আসতে বলুন।

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুনীর চৌধুরী, পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি, দৈনিক চাঁদপুর প্রবাহের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রহিম বাদশা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য অ্যাড. প্রভাষ চন্দ্র সাহা, লিটন সাহা।

এ সময় জেলা বিএনপির সহসভাপতি জসিম উদ্দিন খান বাবুল, খলিলুর রহমান গাজী, ফেরদৌস আলম বাবু, ডি এম শাহজাহান, সদর থানা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. সামছুল ইসলাম মন্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফ উদ্দিন পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হযরত আলী ঢালী, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নূরুল আমিন খান আকাশ, কালি মন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল রায়, সহকারী কোষাধ্যক্ষ বিকাশ মজুমদার টিটু, সদস্য বিনয় পাল, প্রবির পোদ্দার, অরুপ কুমার শ্যাম, গোবিন্দ সাহা, কিশোর কুমার শংকর, অর্জুন সাহা, শিবু মজুমদার, গোতম বর্ধনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, সংখ্যালঘু শব্দের কোনো মানে নেই। আমাদের বড় পরিচয় আমরা বাংলাদেশী। বাংলাদেশ আমাদের জন্মভূমি, ব্যবসা-বাণিজ্য, বাড়ি-ঘর রয়েছে। আমাদেরকে কেন অন্য চোখে দেখা হয়। এবার আমরা দেখেছি মুসলিম সম্প্রদায়ের ভাইরা হিন্দু ধর্মালম্বদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। কিছু বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়া চাঁদপুর জেলায় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এজন্য জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সলিম উল্লাহ সেলিমকে ধন্যবাদ জানাই। তারা সবসময় আমাদের খোঁজ খবর রেখেছেন।