গাজায় ১০ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ১.৮ শতাংশ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজায় ১০ মাসে ইসরায়েলি হামলায় ১.৮ শতাংশ ফিলিস্তিনি নিহত

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা অব্যাহত আছে। দখলদার দেশটির হামলায় এখনো প্রাণ হারাচ্ছেন শত শত ফিলিস্তিনি। আহতের তালিকাটাও প্রতিনিয়ত দীর্ঘ হচ্ছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামলায় এখন পর্যন্ত পৌনে ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ।

সোমবার (১২ আগস্ট) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ফিলিস্তিনের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকার মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষকে হত্যা করেছে৷ তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে গাজার শাসক দল হামাসের প্রাণঘাতী হামলার জবাবে উপত্যকায় প্রায় বিরামহীন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় নিহত হয় ১২ শর মতো ইসরায়েলি। ওইদিন দুই শতাধিক ইসরায়েলিকে বন্দি করে গাজায় নিয়ে আসেন সশস্ত্র ফিলিস্তিনিরা।

ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু দখলদার দেশ ইসরায়েল। তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, মসজিদ কিংবা গির্জার মতো বেসামরিক স্থাপনা।

১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চালানো হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৭৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯২ হাজার ০২ জন।

হামলার পর বিভিন্ন ভবনের ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া অনেকেই নিখোঁজ হয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গাজা উপত্যকাজুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও কয়েক হাজার লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

দক্ষিণ গাজায় ৭৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি গত কয়েকদিনে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলি বাহিনী খান ইউনিসে নতুন উচ্ছেদের আদেশ জারি করেছে এবং অক্টোবর থেকে শহরে তাদের তৃতীয় সামরিক অভিযান শুরু করেছে।