অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে কী হয়?

অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে কী হয়?

ছবি: সংগৃহীত

বাঙালি রান্নায় কিশমিশের ব্যবহার দেখা যায়। বিশেষত পায়েস কিংবা পোলাও রান্না করলে তাতে এই উপাদানটি মেশালে স্বাদ বেড়ে যায় বহুগুণ। অনেকেই আবার কিশমিশ খান সুস্বাস্থ্যের জন্য। এটি শরীরে শক্তি জোগায়, হাড় মজবুত করে। 

কিশমিশে রয়েছে থাকে ফাইবার, প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার। সারা রাত ভিজিয়ে সকালে কয়েকটি কিশমিশ খেলে অনেক উপকার মেলে। তবে অনেকেই আছেন খিদা পেলেই মুঠো মুঠো কিশমিশ খেয়ে ফেলেন। এতে কিন্তু লাভের বদলে ক্ষতি হতে পারে। 

একজন সুস্থ ব্যক্তি দৈনিক ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম কিশমিশ খেতে পারেন। অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয় জানুন- 
অ্যালার্জি 

কিশমিশে রয়েছে নানা প্রকার ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এটি ত্বকের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু শরীরে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের পরিমাণ বেড়ে গেলে আবার অ্যালার্জির আশঙ্কাও থাকে। যা গলা ব্যথা, কাশি বা ত্বকে র‌্যাশের মতো সমস্যার কারণ হতে পারে। 

হজমে সমস্যা 
ফাইবারে ভরপুর একটি উপাদান । এজন্য রোজ নিয়ম করে কয়েকটি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেক পুষ্টিবিদ। কিন্তু অতিরিক্ত ফাইবার আবার শরীরের ক্ষতিও করতে পারে। ফাইবার শরীরে থাকা তরল পদার্থকে শুষে নিতে পারে। যা থেকে হজমের সমস্যা, ডিহাইড্রেশন-সহ পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

রক্তচাপ অতিরিক্ত হ্রাস 
রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে কিশমিশ। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে, তাদের রোজ কিশমিশ খেতে বলা হয়। তবে অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কমে যেতে পারে রক্তচাপ। যা হিতে বিপরীত হতে পারে। 

ওজন বৃদ্ধি 
কিশমিশে প্রচুর ক্যালোরি থাকে। তাই অতিরিক্ত কিশমিশ খেলে তা ওজন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে। 

শর্করা বৃদ্ধি 
বেশি কিশমিশ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই সাবধান হওয়া জরুরি।