উগান্ডায় আবর্জনার স্তূপধসে নিহত ২৩

উগান্ডায় আবর্জনার স্তূপধসে নিহত ২৩

ছবিঃ সংগৃহীত।

উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ময়লা-আবর্জনার স্তূপধসে পড়ায় এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার স্থানীয় এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার কাইতেজির উত্তর কাম্পালা জেলায় ভারী বর্ষণের কারণে বর্জ্যের স্তুপধসে পড়ে। ফলে বহু মানুষ এবং গবাদি পশু আবর্জনার স্তূপের নিচে চাপা পড়ে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

কাম্পালার স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র ড্যানিয়েল নুয়েবিন বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তিনি জানিয়েছেন, সেখানে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।

তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করে আমরা পরিস্থিতি মূল্যায়ণ করছি এবং যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদেকে সহায়তা করছি। ওই শহরের আবাসিক কমিশনার ইয়াসিন দাইদ বলেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচজনই শিশু।

শহরের মেয়র এরিয়াস লুকওয়াগো এই ঘটনাকে একটি ‌‘জাতীয় বিপর্যয়’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি এর আগে সতর্ক করেছেন যে, উদ্ধার অভিযান চলমান আছে। সেখানে আরও অনেক মানুষ চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩৬ একর (১৪ হেক্টর) এলাকাজুড়ে অবস্থিত ময়লার ভাগারটি নিয়ে তিনি আগেই সতর্ক করেছিলেন। সেখানে অতিরিক্ত ময়লা রাখার কারণে যে বিপজ্জনক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছিলেন তিনি। কাম্পালায় সংগৃহীত প্রায় সব ময়লা আবর্জনাই সেখানে ফেলা হয়।

এদিকে প্রেসিডেন্ট ‍মুসেভেনি জানিয়েছেন, তিনি উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনীকে মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। এমন বিপজ্জনক এবং আবর্জনার স্তূপের কাছে লোকজনকে বসবাস করার জন্য কারা নির্দেশ দিয়েছেন সেটাও তিনি জানতে চেয়েছেন।

উগান্ডার বিভিন্ন এলাকা এবং ইথিওপিয়াসহ পূর্ব আফ্রিকার অনেক অংশই ভারী বৃষ্টির কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত মাসে ইথিওপিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত পাহাড়ি এলাকায় ভয়াবহ ভূমিধসে প্রায় ২৫০ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব উগান্ডার মাউন্ড এলগনে ভূমিধসের ঘটনায় ৩৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।