বিশ্বজুড়ে কেন বয়কটের মুখে পড়েছে স্টারবাকস?

বিশ্বজুড়ে কেন বয়কটের মুখে পড়েছে স্টারবাকস?

ছবিঃ সংগৃহীত।

বিশ্বজুড়ে বেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে বৃহত্তম কফিহাউস চেইন স্টারবাকস। গত মঙ্গলবার কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রধান নির্বাহী ল্যাক্সম্যান নরাসিমহান পদত্যাগ করছেন এবং মেক্সিকান গ্রিল চেইন চিপোটলের প্রধান ব্রায়ান নিকোল তার স্থলাভিষিক্ত হবেন।

গত প্রায় দুই বছর ধরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ল্যাক্সম্যান নরাসিমহান কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু তিনি এই দায়িত্বে থাকাকালীন স্টারবাকসের বিক্রি কমে গেছে এবং তাদেরকে রীতিমতো লড়ৈাই করতে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণেই এমন ধসের মুখে পড়েছে এই বৃহত্তম কফিহাউস চেইন। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান আগ্রাসনের কারণে মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকান কফি হাউসগুলোকে বয়কট করার আহ্বান আরও জোরালো হচ্ছে।

মূলত ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পৃক্ততাই স্টারবাকসের বিপদ ডেকে এনেছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনী রীতিমতো ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ১ লাখ ফিলিস্তিনি। এছাড়া বাস্তুহারা হয়ে পড়েছে আরও কয়েক লাখ বেসামরিক নাগরিক।

মূলত একটি চিঠির মাধ্যমেই এই পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছে। ওই চিঠিতে দাবি করা হয়েছে যে, স্টারবাকস ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীকে অর্থায়ন করছে। এমন খবরে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে ফিলিস্তিনের প্রতি সহানুভূতি বেশ তীব্র। এছাড়া পশ্চিমা অনেক দেশও এখন ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি জানাচ্ছে এবং ইসরায়েলকে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানানো হচ্ছে।

টিকটক, এক্স বা সামাজিক মাধ্যমের অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে হ্যাশট্যাগ #boycottstarbucks ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই বলছেন যে, স্টারবাকস প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করছে।

স্টারবাকস একটি আমেরিকান কোম্পানি এবং যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কট্টর মিত্র হিসেবে পরিচিত। গাজায় ১০ মাস ধরে চলা অভিযানে ইসরায়েলকে ব্যাপক সামরিক এবং কূটনৈতিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার এমন কোনো স্থান বাকি নেই যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালায়নি। সেখানে নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

এদিকে ইসরায়েল বা মধ্যপ্রাচ্যে অন্য কোনো সরকার বা সামরিক অভিযানকে সমর্থন করার দাবি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে স্টারবাকস। এক বিবৃতিতে তারা গাজায় ‘সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছে’ এবং বিশ্বব্যাপী সব গ্রাহকের জন্য সমান সেবাদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।