চাঁবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি

চাঁবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগের দাবিতে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবীতে টানা কর্মসূচি পালন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটকে তালা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরপরেও ভিসি ড. মোহাম্মদ নাসিম আখতার পদত্যাগ না করায় রাষ্ট্রপতি বরাবর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে শিক্ষার্থীদের পক্ষে জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারলিপি প্রদান করেন ফখরুদ্দিন ওমর, সায়েম, রাকিবুল, কবির, নিহাল ও মো. সিয়াম হোসেন।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে ড. মোহাম্মদ নাসিম আখতার দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০২১ সালের ২৫ জানুয়ারি। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর চাঁবিপ্রবির কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়নি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের অংশ আবাসিক হল, ক্যান্টিন, ক্যাফেটেরিয়া, যাতায়াতের জন্য বাস ইত্যাদি দিতে তিনি পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। 

চাঁবিপ্রবিতে কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা খেলাধুলার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়নি কেবল কোচিং সেন্টারের মতো একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। 

তিন বছরের অধিক সময় তিনি ভিসির পদে থাকলেও বিভাগগুলোতে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক, সহকারি অধ্যাপক নিয়োগ দেননি। আমাদের চাঁবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে আক্রোশের জায়গাটি হলো গত ১৪ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে তিনি স্থানীয় ছাত্রলীগের ক্যাডারদের সাথে নিয়ে আন্দোলনে বাধা প্রধান করেন এবং জোরপূর্বক আমাদের ব্যানার কেড়ে নেন। 

তিনি নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থীদের তথ্য জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর কাছে দিয়েছেন। আন্দোলন চলাকালীন সময়ে চাঁবিপ্রবি এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ উদাসীন। তাদের এই সকল কর্মকান্ডের জন্য আমরা চাবিপ্রবির সকল শিক্ষার্থী তার পদত্যাগ চাই।

এদিকে গত ১১ আগস্ট ভিসি এবং রেজিস্ট্রারকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। তিনি ২৪ ঘন্টার মধ্যেই পদত্যাগ না করায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ^বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তারপর ও তার কোনো সাড়া না পাওয়ায় গত ১৩ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটডাউন কর্মসূচি পালন করে সকল শিক্ষক এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অফিসে রেখে মূল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। 

পরবর্তীতে রাত ১২ টায় শিক্ষক ও কর্মচারিদেরকে মুক্ত করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তারপরও ভিসি এবং রেজিস্ট্রারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সাথে কোনো প্রকার যোগাযোগ করা হয়নি। এরপর সকল শিক্ষার্থী সিদ্ধান্ত নেয় যতক্ষণ পর্যন্ত ভিসি ও রেজিষ্ট্রার পদত্যাগ না করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পূর্ণরুপে বন্ধ রাখা হবে।