ইবির জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে ড. আশ্রাফী

ইবির জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বে ড. আশ্রাফী

ড. ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী

নিয়মিত উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) জরুরী প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্ব পালন করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন ও আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।

রবিবার (০১ সেপ্টেম্বর) ডিন’স কমিটির সভায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিনদের মধ্য থেকে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে এই দায়িত্ব পালনের জন্য মনোনীত করা হয়। একইসঙ্গে মঙ্গলবার থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করা এবং যে সকল বিভাগের ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত ফলাফল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তা প্রকাশে  সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অনুরোধ জানানোর জন্যও সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল পর্যায়ের জনবল এবং কর্মরত আনছার সদস্যদের আগষ্ট মাসের বেতন-ভাতা ও মাসিক পেনশন রাজস্ব খাত হতে প্রদানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিন’স কমিটি। সভা শেষে ডিন’স কমিটির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিন ড. আশ্রাফী বলেন, মন্ত্রণালয়ের চিঠির আলোকে সিনিয়র ডিন হিসেবে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। উপাচার্য না আসা পর্যন্ত চলতি জরুরি দায়িত্বগুলো আমি পালন করবো। আর্থিক ও প্রশাসনিক কাজের বাইরে আগামী মঙ্গলবার থেকে অনলাইনে ক্লাস চালুর বিষয়ে বিভাগীয় সভাপতিদের চিঠি দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীদের রেজাল্টসহ যেসব পেন্ডিং কাজ রয়েছে সেগুলা সমাধান করা হবে। আর মন্ত্রণালয়কে আমরা অনুরোধ করবো জারি করা চিঠিতিতে যেন একাডেমিক শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়। যদি না দেয় তবে আগামী সপ্তাহ থেকে সশরীরে ক্লাস চালুর করার চেষ্টা করবো। দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র। একাধারে বিভাগের সভাপতি, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হল প্রভোস্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বর্তমানে ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন হিসেবে নিযুক্ত আছেন। তার ৪০টি গবেষণা জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সৌদি বাদশাহ আবদুল আজিজের আমন্ত্রণে ওমরাহ পালনের সুযোগ পেয়েছেন। এছাড়াও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।