ইবির হলে ছাত্রলীগের কক্ষ থেকে গ্রেনেড ও পিস্তলসহ অস্ত্র উদ্ধার

ইবির হলে ছাত্রলীগের কক্ষ থেকে গ্রেনেড ও পিস্তলসহ অস্ত্র উদ্ধার

ছবি: প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলগুলোতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, মদের বোতল ও মাদক সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় উদ্ধারকৃত দেশীয় অস্ত্রগুলো সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে মদের বোতল এবং ও মাদক সেবনের সরঞ্জামগুলো ইবি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন আবাসিক হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কয়েকটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র উদ্ধার করেন বলে জানিয়েছেন তারা। 

অভিযানে পাঁচটি ছাত্র হল থেকে ১টা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র (পিস্তল), ৬টি বুলেট, ১টি গ্রেনেড, ১০টি রামদা, ৮টি চাপাতি, ১টি চাইনিজ কুড়াল, ২টি হকি স্টিক, ২টি হ্যান্ড স্টিক, ৬টি জিআই পাইপ, ৪৯টি রড, ৩টি লোহার শিক, পটকা বোমা ৩ প্যাকেট, ৫০০ গ্রাম ককটেল বারুদ, ২০০ গ্রাম পেট্রোল, ৩০০ পিচ মার্বেল, ১৯ টি ফাঁকা মদের বোতল, ২টি ফাঁকা ফেনসিডিলের বোতল, ৯টি ইয়াবা স্টিক, ৫টি গাঁজার বাঁশি ও ১০-১২টি যৌননিরোধ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের যে রুমগুলো ভেঙেছিলো, শুধুমাত্র সেই রুমগুলোতে অভিযান চালিয়ে আমরা এসব দেশীয় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেছি। উদ্ধারকৃত সবকিছু সেনাবাহিনী এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সামনেও আমাদের এই উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, এখন তো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রশাসন নেই, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলো শিক্ষার্থীরা সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করে ভালো কাজ করেছে। এর আগে এসব বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো ইনফরমেশন ছিল না। তাই সেই সময় কোনো অভিযান চালানো হয়নি। পরবর্তীতে প্রশাসন নির্দেশনা দিলে আমরা বাকিগুলোতে অভিযান চালাতে পারি।