অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর হওয়ার আবেদন করলেন ইমরান খান

অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর হওয়ার আবেদন করলেন ইমরান খান

ছবিঃ সংগৃহীত।

যুক্তরাজ্যের বিশ্বখ্যাত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কারাবন্দি ইমরান খান। রোববার (১৮ আগস্ট) তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এদিন পিটিআই নেতা জুলফিকার বুখারি তার এক্স হ্যান্ডেলে দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ইমরান খানের নির্দেশ অনুযায়ী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর নির্বাচন-২০২৪ এ তার আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আমরা একটি ঐতিহাসিক প্রচারণার জন্য সবার সমর্থন প্রত্যাশা করছি।

পাকিস্তান জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খান অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। সাবেক এই ক্রিকেট তারকা ১৯৭২ সালে অক্সফোর্ডের কেবেল কলেজে অর্থনীতি ও রাজনীতি বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্রিকেট দলের অধিনায়কও ছিলেন।

তিনি ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে উত্তর-পূর্ব গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডির একটি কারাগারে বন্দি। দুর্নীতি থেকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়াসহ একাধিক মামলায় আটকে রাখা হয়েছে তাকে।

মামলাগুলোর দুটিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ও তৃতীয়টি স্থগিত করেছেন আদালত। যদিও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

৭২ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমত্রীকে তার পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছরেরও বেশি সময় আগেই, ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। এরপর থেকেই কারাবন্দি করে রাখা হয় তাকে।

টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৮০ বছর বয়সী লর্ড প্যাটেনের পদত্যাগের পর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদটি শূন্য হয়ে যায়। তিনি দীর্ঘ ২১ বছর দায়িত্বে থাকার পর সম্প্রতি পদত্যাগ করেন।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটির চ্যান্সেলর পদকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রধান হিসেবে বর্ণনা করেন। সাধারণত আজীবনের জন্য একজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকেই তারা এ পদে নির্বাচিত করেন। যিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রধান প্রধান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করে থাকেন।

এদিকে, প্রতিষ্ঠানটির নতুন চ্যান্সেলর নির্বাচন প্রক্রিয়াটি প্রথমবারের মতো অনলাইনে পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষ। যে প্রক্রিয়ায় লড়তে যাচ্ছেন এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়টির সমাবর্তনে অংশ নেওয়া সাড়ে ৩ লাখ সাবেক শিক্ষার্থী।