দিল্লিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে রোগী দেখবেন চিকিৎসকেরা

দিল্লিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে রোগী দেখবেন চিকিৎসকেরা

ফাইল ছবি।

ভারতের কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষণ ও খুনে প্রতিবাদ চলছে পুরো দেশজুড়েই। দেশটির একাধিক রাজ্যে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকেরা। জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও বহু সরকারি হাসপাতালে আউটডোর বা বহির্বিভাগ বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করলেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সের (এমস) চিকিৎসকেরা। দিল্লির সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তারা বহির্বিভাগ বন্ধ করবেন না, কিন্তু তা চালানো হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাইরে।

 

সোমবার একটি বিবৃতি জারি করেছেন এমসের জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

তারা জানান, রাস্তায় দাঁড়িয়েই তারা রোগী দেখবেন। সোমবার থেকেই এই কর্মসূচি শুরু হবে।

 

তবে তাদের সে কাজ করতে দেয়া হবে কিনা, তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি দিল্লি পুলিশ।

 

গত সপ্তাহ থেকেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে কর্মবিরতি পালন করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। তবে জরুরি বিভাগে কাজ বন্ধ রাখা হয়নি। চিকিৎসকদের সংগঠনের তরফে সরকারের কাছে একটি আপিল করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামনে বহির্বিভাগ চালানোর জন্য যা যা প্রয়োজন সেই পরিকাঠামো বানিয়ে দিতে হবে সরকারকেই।

চিকিৎসকদের চিঠি

সোমবারই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখেছেন ৭০ জন পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত চিকিৎসক। চিঠিতে তারা লিখেছেন, দ্রুত এই ঘটনার তদন্ত শেষ করতে হবে। এই ঘটনা গোটা দেশের চিকিৎসক সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, তার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আবেদন জানিয়েছেন এই চিকিৎসকেরা।

চিঠিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টির উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো, চিকিৎসকদের সুরক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় আইন প্রণয়নের প্রস্তাব। বস্তুত, এমন দাবি এর আগেও চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল।

 

এদিকে সোমবারেও কলকাতায় একাধিক কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন। সোমবার রাখিবন্ধন উৎসব। সেই উৎসবকেও আন্দোলনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ডাক দেয়া হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হবে আন্দোলন। সাধারণ মানুষকেও সেই আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দিল্লির চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, গোটা দেশেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। আরজি করের ঘটনা তা আরো স্পষ্ট করে দিয়েছে। গোটা দেশেই স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের নিরাপত্তা প্রয়োজন।