ইন্টারনেটে ধীরগতি : ভিপিএনকে দুষলেন পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ইন্টারনেটে ধীরগতি : ভিপিএনকে দুষলেন পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

ছবিঃ সংগৃহীত।

পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। চলমান এই আন্দোলনে সরকারের বিরুদ্ধে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, তাদের আন্দোলনের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করতে এ ধরনের প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। পাকিস্তানের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী শাজা ফাতিমা খাজার দাবি, ইন্টারনেটের এমন ধীরগতির জন্য সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

গত রবিবার ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে শাজা ফাতিমা খাজা বলেছেন, ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি বা ইচ্ছা করে গতিও কমিয়ে দেওয়া হয়নি। ভিপিএনের (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) অতিরিক্ত ব্যবহারের কারণেই ইন্টারনেটের গতি কমেছে। প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, এই সমস্যা সমাধান করতে এবং পাকিস্তানে ইন্টারনেট সেবা উন্নত করতে কাজ করছে সরকার।

এদিকে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে দেওয়ায় দেশটির মানবাধিকারকর্মী এবং ব্যবসায়ী নেতারা উদ্বেগ জানিয়েছেন।

এতে ভঙ্গুর অর্থনীতি আরও সংকটের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা তাদের। বিষয়টি এরই মধ্যে আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। একটি আইটি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুসারে, গত জুলাই থেকেই পাকিস্তানে ইন্টারনেটের গতি ৪০ শতাংশ কমেছে। যেখানে লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে নথি, ছবি এবং ভয়েস নোট ব্যবহার করেন, তারা সমস্যায় পড়ছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় কয়েকদিন বন্ধ ছিল ইন্টারনেট। পরবর্তীতে চালু হলেও গতি ছিল অনেক ধীর। এ জন্য তখন ভিপিএনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়াকে ইন্টারনেটে ধীরগতির জন্য দায়ী করেছিলেন বাংলাদেশের সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।