নিজ দেশের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার আহ্বান চীনের

নিজ দেশের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার আহ্বান চীনের

ফাইল ছবি।

নিজ দেশের নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে চীন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) চীনা দূতাবাসের এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানানো হয়। সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন এবং ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সে কারণেই লেবাননে অবস্থানরত নিজ দেশের নাগরিকদের সতর্ক করেছে বেইজিং।

লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থিত চীনা দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সম্প্রতি লেবানন-ইসরায়েলি সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। লেবাননের নিরাপত্তা পরিস্থিতিও গুরুতর এবং জটিল হয়ে উঠেছে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ এবং নাবাতিয়েহ প্রদেশে লাল সতর্কতা (সর্বোচ্চ ঝুঁকি) এবং অন্যান্য এলাকায় কমলা সতর্কতা (উচ্চ ঝুঁকি) জারি করা হয়েছে।

ওই বিবৃতিতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে চীনে ফেরার সুযোগ থাকলে তা গ্রহণ করতে অথবা যত দ্রুত সম্ভব লেবানন ছাড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এর আগে একই ধরনের সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, স্লোভেনিয়াসহ বিভিন্ন দেশ।

এদিকে এক রাতেই লেবাননের ১০টির বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তাদের ফাইটার জেট লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে ১০টির বেশি এলাকায় হিজবুল্লাহর টার্গেটে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর বেশ কিছু গুদাম, রকেট লঞ্চার এবং অন্যান্য অবকাঠামো রয়েছে এমন স্থানে হামলা চালানো হয়েছে।

তবে ওই হামলা সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। এর আগে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, চিহিন, কফার কিলা, আইতা আল শাব এবং আলমা আস-শাব এলাকায় হামলা চালিয়েছে তাদের সৈন্যরা।

লেবাননভিত্তিক আল মায়াদিন টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খিয়াম, কফার শৌবা, মাহবিব, আইতা আল শাব, জাবকিন, রামিয়াহ, কাউথারিয়েত এই সাইয়াদ এবং কফার কিলা এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

অপরদিকে ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটিতে সরাসরি হামলার দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। লেবাননভিত্তিক এই সশস্ত্র সংগঠন জানিয়েছে, তারা উত্তর ইসরায়েলের রামোট নাফতালি এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক ব্যারাক এবং অধিকৃত গোলান মালভূমির জাউরাতে বেশ কিছু আর্টিলারি সাইটে কাতিউশা রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ওই দুই স্থানে হামলা চালানো হয়। হিজবুল্লাহর দাবি এসব স্থানে তাদের রকেট সরাসরি আঘাত হেনেছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত সংঘাত চলছেই। এদিকে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার এই সংঘাতে হামাসের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। পাল্টা আক্রমণ করছে ইসরায়েলও। ফলে লেবানন এবং ইসরায়েল সীমান্তে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে।