সুনামগঞ্জে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

সুনামগঞ্জে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, দুর্ভোগে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

সংগৃহীত ছবি

টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার তিন ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বানের পানিতে তলিয়ে গেছে কৃষকের দুই হাজার হেক্টর আমন ধান। উপজেলার আশারকান্দি, পাইলগাঁও, রানীগঞ্জ ইউনিয়নের বাজারসহ ৫০ গ্রামে কুশিয়ারা নদীর পানি প্রবেশ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টানা বৃষ্টিপাতে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পূর্ব জালালপুর, নতুন কসবা ও বড় ফেছী বাজার সংলগ্ন জগন্নাথপুর-বেগমপুর সড়কের ওপর দিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি। এদিকে রানীগঞ্জ, রৌয়াইল, পল্লীগঞ্জ ও বড় ফেছী বাজারের শতাধিক দোকানে নদীর পানি প্রবেশ করায় ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

পাইলগাঁও ইউনিয়নের পুরাতন আলাগদি ও খানপুর কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে ১০টি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। জালালপুর ক্বাসিমুল উলুম মাদরাসায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও উপরোক্ত এলাকার অধিকাংশ গ্রামীণ সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে স্কুল কলেজ ও মাদরাসায় শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বসতঘর সহ বাড়ির উঠানে ও আঙ্গিনায় পানি রয়েছে। তবে আশ্রয় কেন্দ্রে বন্যার্ত কোনো পরিবারকে আশ্রয় নিতে দেখা যায়নি।

পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আবুল হোসেন ও আলী আকবর খান বলেন, ফসল রক্ষার জন্য সোনাতলা ও খানপুরের ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বৃষ্টিপাতে সুরমা নদীর পানি বাড়লেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমা ৮০ সেন্টিমিটারের নিচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনা নেই।

তবে জগন্নাথপুর উপজেলায় কুশিয়ার পানি প্রবেশ করায় সংশ্লিষ্ট এলাকায় বন্যা মোকাবেলা যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।