ধামরাইয়ে সাবেক এমপিসহ ৮২ জনের নামে হত্যা মামলা

ধামরাইয়ে সাবেক এমপিসহ ৮২ জনের নামে হত্যা মামলা

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার ধামরাইয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের ৮২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮০-৯০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার নিহতের নানা আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

নিহত আফিকুল ইসলাম সাদ (১৮) ধামরাইয়ের কায়েতপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে সাভার ক্যান্টনমেন্ট কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিল।

মামলার অপর আসামিরা হলেন–সংসদ সদস্য বেনজির আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ মালেক (৬৮), ধামরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা (৫৮), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাদ্দেস হোসেন (৫৫), আহম্মদ আল জামান (৬০), মো. এনামুল হক আইয়ুব (৫৮), বাইশাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান (৫৭), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন (৬৮), সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ (৬০), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খালেদ মাসুদ খান লাল্টু (৫৫), মো. আরিফ হোসেন (৩৭), সাবেক পৌর কমিশনার তবারক হোসেন কামাল (৪২), সাহেব আলী (৬২), মো. শিপলু (৩০), মাসুম খান (৬৯), সাখাওয়াত হোসেন সাকু (৬৫), হিমায়েত কবীর মতিন (৫৮), শহিদুল্লাহ (৫৮), আবু সাইত (৬২), আমিনুর রহমান (৪৮), সিরাজুল ইসলাম (২৯), ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা (৫০), আমজাদ মোল্লা (৫০), সুমন আলী (৩৮), দীপু (৩৫) প্রমুখ। তারা সবাই ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা ও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ধামরাই হার্ডিঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করছিল ৫০০-৭০০ শিক্ষার্থী। সেখানে আন্দোলনে অংশ নেয় সাদ। এ সময় ১-২০ নম্বর আসামিদের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে মারপিট ও গুলিবর্ষণ করে।

সংঘর্ষে পালানোর সময় সাদের মাথায় গুলিবিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ৮ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।