সাজেকে যান চলাচল স্বাভাবিক, নিরাপদে ফিরেছেন ২ শতাধিক পর্যটক

সাজেকে যান চলাচল স্বাভাবিক, নিরাপদে ফিরেছেন ২ শতাধিক পর্যটক

সংগৃহীত

ঢলের পানিতে ডুবে যাওয়া বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের পানি সরে যাওয়ায় সাজেকে আটকা পড়া দুই শতাধিক পর্যটক নিরাপদে ফিরে গেছেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পর্যটকদের বহনকারী গাড়িগুলো সাজেক থেকে খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক রুইলুই পর্যটনকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় কাচালং নদীর পাহাড়ি ঢলও কমে যায়। ফলে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের তলিয়ে যাওয়া তিন স্থানের পানি কমে গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এরপর গত তিন দিনে আটকে পড়া ২৬০ জন পর্যটক খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে পর্যটকদের বহনকারী জিপ, মাহিন্দ্রা, মোটরসাইকেল সাজেকের রুইলুই পর্যটনকেন্দ্রের প্রবেশমুখে লাইন ধরে দাঁড়ায়। পরে দুপুরে ১৩টি জিপ ও ৬০টি মাহিন্দ্রা-মোটরসাইকেলে ওই পর্যটকরা খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

এর আগে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বাঘাইহাট থেকে সাজেকে এসব পর্যটক বেড়াতে যান। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে ভারী বৃষ্টি হলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাচালং নদী উপচে বাঘাইহাট-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় দুটি স্থান এবং মাচালং বাজার এলাকা ডুবে যায়। এতে এই সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে পর্যটকরা সাজেকে আটকা পড়েন।

এ বিষয়ে সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ গণমাধ্যমকে বলেন, আটকে পড়া পর্যটকরা শুক্রবার নিরাপদে ফিরে গেছেন। রিসোর্ট-কটেজে আটকে পড়া পর্যটকরা যতদিন ছিলেন, কোনো কক্ষের ভাড়া নেওয়া হয়নি। শুধু পানির বিল নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আটকে পড়লে পর্যটকদের এ সুযোগ দেওয়া হয়।