পিঠের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে এই আসনে, কীভাবে করবেন?

পিঠের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মেলে এই আসনে, কীভাবে করবেন?

ছবি: সংগৃহীত

কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘসময় কাজের প্রভাবে পিঠে যন্ত্রণা শুরু হয়। ওজন বাড়ার কারণেও এমনটা হয়ে থাকে। দ্রুত ওজন কমাতে কিংবা পিঠের যন্ত্রণা কমাতে দারুণ কাজ করে যোগাসন। এমনই একটি কার্যকর যোগাসন কটিচক্রাসন। তবে সেটি করতে হবে সঠিক নিয়মে। চলুন আসনটির বিস্তারিত জেনে নিই- 

এই আসনে শিরদাঁড়া টান টান রেখে নিজের কক্ষপথে কোমর ঘোরাতে হয়। এটি এক ধরনের টুইস্টিং আসন। ‘কটি’ শব্দের অর্থ কোমর। আর ‘চক্র’ শব্দের অর্থ চাকার মত ঘূর্ণন বা গোল হয়ে ঘোরা। 

কীভাবে এই আসনটি করবেন?
ম্যাটের ওপর সোজা হয়ে দুই পা ফাঁক করে দাঁড়ান। খেয়াল রাখবেন দুই পায়ের দুরত্ব যেন কাঁধ বরাবর হয়। হাত পাশে ঝুলিয়ে রাখুন। এবার চোখ বন্ধ করে শরীর শিথিল করুন। ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। তারপর চোখ খুলুন।

দু’হাত কাঁধ বরাবর সোজা করে দু'পাশে ছড়িয়ে দিন, হাতের তালু যেন মেঝের দিকে থাকে। এরপর নিশ্বাস ছেড়ে ডান হাত ভাঁজ করে বাঁ কাঁধে রাখুন ও কোমর বাঁ দিকে ঘোরান। এই অবস্থায় বাঁ হাত কোমরের পিছন দিক থেকে ডান দিকে বার করে রাখুন।

এই ভঙ্গিতে বাঁ কাঁধের দিকে তাকান। খেয়াল রাখবেন যেন পা মাটি থেকে কোনোভাবে উঠে না পড়ে। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকুন। ব্যায়ামটি করার সময় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন।

এরপর শুরুর অবস্থায় ফিরে আসুন। অর্থাৎ হাত কাঁধের পাশে ছড়িয়ে রাখুন।

একইভাবে ডান দিকে ঘুরে ব্যায়ামটি অভ্যাস করুন। অর্থাৎ বাঁ হাত ডান কাঁধে রেখে ডান দিকে কোমর ঘোরান ও ডান কাঁধের দিকে দৃষ্টি রাখুন। এসময় অনুভব করবেন, একই সঙ্গে আপনার ঘাড়ও ঘুরে যাচ্ছে।

দু’দিকে ঘোরার পর সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হলো। এভাবে ৫–৭ রাউন্ড অভ্যেস করতে হবে।

সতর্কতা-
গোড়ালি, নিতম্ব, শ্রোণি, পাঁজরের হাড়, মেরুদণ্ড, কাঁধ, ঘাড়, বাহু এবং কাঁধে কোনোরকম চোট-আঘাত লাগলে কিংবা এই সব অঙ্গের পেশি, লিগামেন্ট বা টিস্যুতে কোনোরকম আঘাত লাগলে বা অস্ত্রোপচার হলে এই ব্যায়ামটি না করাই ভাল।

এই আসনটি কেন করবেন?
এই আসনটি নিয়ম করে অভ্যাস করলে পিঠের আড়ষ্ট ভাব কমবে। একইসঙ্গে কমবে যন্ত্রণাও। এছাড়া কোমর ও নিতম্বের মেদ ঝরবে এবং পেটের পেশির টোনিং হবে। হাঁপানির সমস্যা থাকলেও এই ব্যায়াম করলে উপকার পাওয়া যায়। 

কার্ডিয়োভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমাতেও এই ব্যায়াম বেশ উপকারী। কটি চক্রাসন করলে শরীরে শক্তি ফেরে, শরীর চাঙ্গা থাকে।