শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ নেপাল

শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামছে বাংলাদেশ, প্রতিপক্ষ নেপাল

ছবি:সংগৃহীত

২০২২ সালে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা খুইয়েছিল বাংলাদেশ। এবার সেই বাঁধা সেমিফাইনালেই পার করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে ফাইনালে টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল।

বুধবার (২৬ আগস্ট) নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে দুই দল। বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে তিনটায় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিপক্ষ কিছুটা চিন্তিত বাংলাদেশ দল। কারণ, একই গ্রুপে থাকায় গ্রুপ পর্বেও দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। যেখানে নেপালের কাছে ২-১ গোলে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে ওই ম্যাচের ভুল শুধরে সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে জিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের যুবারা। ফাইনালেও শিষ্যদের সেই ধারাবাহিকতা দেখতে চান বাংলাদেশের কোচ মারুফুল হক।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলব, চ্যাম্পিয়ন হব। যদিও গ্রুপ পর্বে নেপালের কাছে হেরেছি। এরপর খেলোয়াড়দের নানাভাবে উজ্জীবিত করেছি। তাদের ইচ্ছা ছিল ভালো কিছু করার। ভারতের বিপক্ষে জিতে এখন স্বপ্নের শেষ ধাপে আমরা। নেপালকে হারাতে পারলেই শিরোপা নিয়ে দেশে ফিরতে পারব।

তিনি আরও করেন, নেপাল ভালো দল। তাদের বেশ কয়েকজন ভালো খেলোয়াড়ও আছে। আশা করি ফাইনাল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। নেপালের মাঠ সবসময় বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত। ফুটবল ৫১ ভাগ প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা, বাকি ৪৯ ভাগ ভাগ্য। এখন দেখা যাক কী হয়।

এদিকে ফাইনালের আগে বাংলাদেশ শিবিরে দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণের ইনজুরি। ফাইনালে মাঠে থাকতে পারছেন না তিনি। সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে আঘাত পেয়েছিলেন। সেই আঘাত গুরুতর। তাই ফাইনাল খেলার পরিবর্তে দেশে ফিরতে হচ্ছে মেহেদীকে।

দলের ম্যানেজার খন্দকার রকিবুল ইসলাম কাঠমান্ডু থেকে গোলকিপারের ইনজুরি সম্পর্কে বলেন, চোখের নিচে বেশ বড় আঘাতই পেয়েছে সে। এখানকার চিকিৎসকদের অনুযায়ী পরামর্শ সার্জারি প্রয়োজন। আমাদের সিদ্ধান্ত সেটা দেশেই করানো। সোমবার রাতে হাসপাতালেই ছিল। টিকিট পেলে ওকে দেশে পাঠিয়ে দিব। মেহেদী এখন স্বাভাবিক রয়েছে।

শ্রবাণের পরিবর্তে মাঠে নেমে বাংলাদেশকে জয় এনেদেন মোহাম্মদ আসিফ। ফাইনাল ম্যাচ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী এই গোলকিপার। তিনি বলেন, আমি ট্রফি নিয়েই ফিরতে চাই। আর এই ট্রফিটা ফুটবলাররা জিততে চাইছেন নতুন বাংলাদেশের ফুটবলের নতুন শুরু হিসেবে