আগের নিয়মেই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা

আগের নিয়মেই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা

ফাইল ছবি

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত থাকলেও আপাতত আগের নিয়মেই নেয়া হবে পরীক্ষা। সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষমতা পাওয়ার কথা ছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ)। এ জন্য একটি আইন পাসের কাজও চলমান ছিল। তবে সংসদ না থাকায় আইন পাস সময় সাপেক্ষ বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ অবস্থায় আগের নিয়মেই শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। সূত্র মতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে নতুন আইন পাসের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। তবে সরকার পতনের পর সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় আইন পাসের বিষয়টি স্থগিত হয়ে গেছে। নতুন সরকার কবে গঠন হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকায় শিক্ষক সঙ্কট দূর করতে আগের নিয়মেই অর্থাৎ ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে শিক্ষক সঙ্কট দূর করা হতে পারে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সদস্য (শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান) মুহম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আইন পাস কিংবা শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষাসংক্রান্ত কোনো কিছুই এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে আইন পাস করতে সংসদে তুলতে হয়। যেহেতু সংসদ নেই, কাজেই এটি কবে পাস হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তীব্র শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এ জন্য যত দ্রুত সম্ভব তারা নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চান। বিষয়টি শিক্ষা উপদেষ্টাসহ একাধিক মাধ্যমকে অবহিত করা হয়েছে। যেহেতু আইন পাসের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন, সেহেতু ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভাবা হচ্ছে।
এনটিআরসিএর পরীক্ষা মূল্যায়ন ও প্রত্যয়ন শাখার এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের মাধ্যমে সনদ অর্জনের প্রথা বিলুপ্ত করতে চেয়েছিলাম। তবে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করায় আইন পাস হতে সময় লাগবে। এ জন্য ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১৮টি শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়েছে এনটিআরসিএ। ইতোমধ্যে এক লাখের বেশি নিবন্ধন সনদধারীকে চাকরির সুপারিশ করা হয়েছে।