ভারত-পাকিস্তানে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ' আসনা'

ভারত-পাকিস্তানে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ' আসনা'

প্রতিকী ছবি

ভারত ও পাকিস্তান উপকূলে ধেয়ে আসছে বিরল একটি ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরের উত্তরে গুজরাট উপকূলে শুক্রবারই আছড়ে পড়তে পারে সেটি। ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘আসনা’।

ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আরবসাগরে ১৯৬৪ সালের পর এটাই হতে যাচ্ছে দ্বিতীয় আগস্ট ঝড়। শুধু তাই নয়, বিগত ৮০ বছরের মধ্যে এটি হবে চতুর্থ বিরল পরিস্থিতি যেখানে স্থলভাগ থেকে সমুদ্রে পৌঁছনোর মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় সক্রিয় হবে।

এরই মধ্যে গুজরাটের বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। এর প্রভাবে প্রদেশটিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বন্যায় সেখানে এখন পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যজুড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় ‘রেড এলার্ট’ জারি করা হয়েছে। খবর আনন্দবাজারের।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) টানা চতুর্থ দিনের মতো রাজ্যের বিভিন্ন অংশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা কবলিত অঞ্চল থেকে প্রায় ১৮ হাজার লোককে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গুজরাটের বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, পাকিস্তানের সিন্ধ উপকূলে ঘূর্ণিঝড়টির আঘাত হানার আশঙ্কা রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। দেশটির আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে শনিবার (৩১ আগস্ট) পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় বন্যা নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে করাচির স্কুল।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে এমন ঘূর্ণিঝড় বিরল। সাধারণত জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর শক্তিশালী প্রতিরোধের কারণে সাধারণত নিম্নচাপগুলো ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে না। অবশ্য এর আগে ১৯৪৪, ১৯৬৪ ও ১৯৭৬ সালের আগস্ট মাসে আরব সাগরে পৌঁছনোর আগে স্থলভাগেই গভীর নিম্নচাপ ঘণীভূত হয়েছিল। তবে সবক্ষেত্রেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরতি হয়নি।